তাড়াশে বাম্পার ফলনের আশায় আউশ চাষে ব্যস্ত কৃষক, সরকারি প্রণোদনায় উৎসাহ
আউশের উৎপাদন বাড়াতে সরকারি প্রণোদনা পেয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার কৃষকেরা। বাম্পার ফলনের আশায় করে যাচ্ছেন কঠোর পরিশ্রম।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আটটি ইউনিয়নে আউশ ধানের চাষ বাড়াতে সরকারি বরাদ্দ থেকে এক হাজার ৮শ ৬০ জন কৃষককে বিনামুল্যে প্রণোদনার সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক কৃষককে প্রতি বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।
সরকারের দেওয়া কৃষি প্রণোদনা পাওয়ার পর কৃষকেরাও ঘামঝরা পরিশ্রম করে আউশ চাষে নবদিগন্তের সূচনা করেছেন।
কৃষকদের মতে, আউশ চাষাবাদ পুরোটাই বৃষ্টি নির্ভর। ফলে এ ধান উৎপাদনে সেচ খরচ সাশ্রয় হয়। বিনামূল্যে সার ও বীজ পাওয়ায় তারা ঘুরে দাঁড়ানো সুযোগ থাকে। ফলে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করছেন তারা।
উপজেলায় চলতি বছর তিন হাজার ৪শ ৭৫ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে তিন হাজার ৬শ ৫৭ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের আবাদ করা হয়েছে।
তাড়াশ উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কাটাগাড়ী গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, উপজেলার মধ্যে আমাদের এলাকায় আউশ ধানের আবাদ বেশি হয়। আউশ আবাদে খরচ কম, লাভ বেশি। এছাড়া কৃষকেরা উফসি ও স্থানীয় জাতের আউশ ধানের আবাদ বেশি করেন। সরকার বিনামুল্যে সার ও বীজ দেওয়ায় কৃষকেরা এখন আউশ আবাদে বেশি ঝুঁকছেন বলে জানান তিনি।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, আউশ ধান উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কৃষকদের বিনামুল্যে সার ও বীজ দেওয়া হয়েছে। আউশ ধান চাষাবাদে কৃষকদের খরচ কম হওয়ায় এবং বিনামুল্যে সার ও বীজ পেয়ে আউশ চাষাবাদে কৃষকেরা ঝুঁকছেন। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
(ঢাকাটাইমস/২৮জুন/পিএস)