টাঙ্গাইলে বৃষ্টিতে ভোগান্তি পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের

সারাদেশে পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুসারে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুন) সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের মাধ্যমে এবারের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিও ছিল ভালো। নিজ নিজ উদ্যোগে যথাসময়ে কেন্দ্রে আসার পরিকল্পনাও ছিল পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু বাগড়া হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি। সাত-সকালে প্রবল বৃষ্টি মাথায় করে পরীক্ষাকেন্দ্রে ছুটতে হয় এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের। বৃষ্টির কারণে টাঙ্গাইল শহরের পথে পথে যানবাহন সংকট হয়। এরপরও যথাসময়ে পরীক্ষার্থীরা এসেছিল পরীক্ষা কেন্দ্রে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। এতে ভোগান্তি পোহাতে হয় বাইরে অপেক্ষমাণ অভিভাবকদের। পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি। বাইরে থাকা অভিভাবকরা ছাতা মাথায় নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন প্রিয় সন্তানের জন্য। এবার বাড়ি ফেরার পালা। বৃষ্টির কারণে ফের যানবাহন সংকট হয়ে পড়ে। এ সময় কেউ জায়গা নেয় রাস্তার পাশের দোকানগুলোর সামনে। জায়গা সংকুলান না হলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে হয় পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। চরম ভোগান্তিতে পড়েন পরীক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
শহরের মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজ, সরকারি কুমুদিনী মহিলা কলেজ, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজ, বিবেকানন্দ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে পরীক্ষার্থীদের ভোগান্তির এমন চিত্র দেখা যায়।
বাইরে থাকা অভিভাবকরা জানান, সকালে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ছিল। পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে ঢোকার পর বৃষ্টি বেড়ে যায়। পরীক্ষা শেষে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে ভোগান্তি পোহালেও পরীক্ষা দিতে বাচ্চাদের কোনো অসুবিধা হয়নি।
সানজিদা, জান্নাতুল, শাম্মী, ঐশী, রনি, আজাদ ও রিপনসহ পরীক্ষার্থীরা জানান, পরীক্ষার কেন্দ্রে আসার সময় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর বৃষ্টি বেড়ে যায়। এতে আমাদের অভিভাবকদের ভিজতে হয়েছে। এখন বাড়ি ফিরছি। বৃষ্টিও মুষলধারে। ফেরার পথে অভিভাবকসহ আমাদের ভিজতে হচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে আমাদের পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনো সমস্যা হয়নি।
জেলা শিক্ষা অফিসার রেবেকা সুলতানা বলেন, চলতি বছরে টাঙ্গাইলে এইচএসসি ও সমমান মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৩৩ হাজার ২৭১ জন। সুষ্ঠুভাবে প্রথম পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সময়টাও বর্ষাকাল। এসময় বৃষ্টি হওয়াটাও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীদেরকে ছাতা ও রেইন কোট নিয়ে কেন্দ্রে আসার পরামর্শও দেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
এর আগেই বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করার সংকেত দিয়েছিলেন আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৈরী আবহাওয়ার সম্ভাবনার কথা ভেবেই পরীক্ষা কেন্দ্রে মোমবাতি ও দিয়াশলাই নিয়ে আসার জন্য পরীক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়েছিলেন টাঙ্গাইলের মেজর জেনারেল মাহমুদুল হাসান আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম। যদিও সমালোচনার মুখে পড়ে নির্দেশনাটি প্রত্যাহার করে নেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে সমালোচনা হলেও বৃষ্টির পর ইতিবাচকভাবে দেখছেন পরীক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
(ঢাকা টাইমস/৩০জুন/এসএ)

মন্তব্য করুন