টাঙ্গাইলে সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

টাঙ্গাইল সদর উপজেলায় তোরাপগঞ্জ ধলেশ্বরী নদীর ওপর নির্মিত চারাবাড়ি সেতুর সংযোগ সড়ক ধসে পাঁচটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের কারণে বারবার সংযোগ সড়কটি ভেঙে যাচ্ছে বলে স্থানীয় অধিবাসীদের অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কাতুলী, হুগড়া, কাকুয়া, মাহমুদনগর ও নাগরপুরের ভাড়রা ইউনিয়নে যাতায়াতের জন্য টাঙ্গাইল-তোরাপগঞ্জ সড়কে ধলেশ্বরী নদীর ওপর চারাবাড়ি ঘাটে ১৭০.৬ মিটার দীর্ঘ সেতুটির অবস্থান।
নির্মাণের পর গত ১৮ বছরে অবৈধ ড্রেজিংয়ের কারণে কয়েকবার পূর্ব ও পশ্চিম তীরের সংযোগ সড়ক ধসে যায়। এলজিইডি স্থানীয়দের সহায়তায় বালুর বস্তা ও লোহার পাত দিয়ে সাময়িক সংস্কার করে যোগাযোগ স্বাভাবিক করে।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, এই সেতুর উভয় পাড় থেকে অবৈধ ড্রেজিং করায় বারবার সেতুটি ধসে পড়ে। এতে লোকজনের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
অটোরিকশাচালক হাসমত করিম বলেন, ‘গত কয়েক দিন ধরেই একটু একটু করে ধস নামছিল। আজকে ভোরে যাত্রী নিয়ে এসে দেখি সড়ক ভেঙে গেছে। পরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ভাঙনের দৃশ্য দেখছি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা গাড়ি চালাতে পারব না।’
উপজেলা চেয়ারম্যানের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এলজিইডি প্রকৌশলী মো. ফজলুর রহমান। তিনি বলেন, দ্রুতই সড়কটি সংস্কার করা হবে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন খান তোফা বলেন, সম্প্রতি বৃষ্টি ও প্রবল স্রোতের কারণে ব্রিজের পাড় ধসে পড়ছে। যেহেতু এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, তাই ধস বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চেয়ারম্যান আরও বলেন, ওখানে স্থায়ীভাবে একটা কিছু করার কথা ভাবছেন তিনি। পশ্চিম টাঙ্গাইলের পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের এই মাধ্যমটি তিনি গুরুত্বসহকারে দেখছেন।
ঘটনাস্থলে ইঞ্জিনিয়ার পাঠানো হয়েছে জানিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সড়কটি যেহেতু এলজিইডির, তাই তাদের প্রকৌশলীকে অবগত করা হয়েছে। দ্রুত সময়ে দুর্ভোগ লাঘবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১০জুলাই/মোআ)

মন্তব্য করুন