বঙ্গবন্ধুর মতো সপরিবারে হত্যার চেষ্টা, এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ সাবেক প্রতিমন্ত্রীর

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর মতো আমাকেও সপরিবারে হত্যার পরিকল্পনা করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য বিপ্লব হাসান। ২০১০ সালে তার নেপথ্য ভূমিকায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বন্দবেড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েলকে হত্যা করা হয়েছে। একইভাবে আমাকেও হত্যার নীল নকঁশা আঁকা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সেই মামলা এখনো বিচারাধীন। সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো সরেজমিনে কাজ করলে এ মামলার আসল রহস্য বের হয়ে আসবে ‘
শনিবার দুপুরে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচারের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন রৌমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আব্দুল মোমেন, সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ খোকা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নুরুল আমিন, দপ্তর সম্পাদক রমেস চন্দ্র সাহা (চন্দন), আইন বিষয়ক সম্পাদক নার্গিস বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য কতিপয় আইসিইউ, জনবিচ্ছিন্ন নেতা— যারা দলের সুবিধা নেয় কিন্তু দলের কাজ করে না। তারা সব সময় দলীয় নেতাকর্মীর সঙ্গে অশুভ আচরণ, দুর্নীতি, লুটপাট, ঘর ও রিলিফের চাল বিক্রি করাসহ নানা অন্যায় করেন। যতো রকমের সরকারি সুবিধা আছে তার জন্য নেতাকর্মীদের টাকা মারা, দাপটে ঠিকাদারী করা, সবচেয়ে নিন্মমানের কাজ করা, মাদক ব্যবসা করা, ধাপ্পাবাজী করার মতো ভূমিদস্যু কিছু সন্ত্রাসী নেতা আছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (সাবেক প্রতিমন্ত্রী) সম্পর্কে মিথ্যা, অসত্য, ভিত্তিহীন ষড়যন্ত্রমূলকভাবে সংবাদ প্রচার করে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন করছে তারা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। এই মিথ্যা, অসত্য তথ্য প্রচার করে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি যারা ক্ষুণ্ন করছে তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি করছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন রৌমারী সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল করিম, শৌলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম লাল মিয়া, চরশৌলমারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রশিদ মঞ্জু প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ সময় পুলিশি বাধার মুখে পড়েন নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশি বাধা অতিক্রম করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলার শাপলা চত্বরে এসে শেষ করা হয়।
(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/প্রতিনিধি/এসআইএস)

মন্তব্য করুন