পাবনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ

পাবনায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে পুলিশসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকাল ৪টা) বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ চলছিল। আহতদের তাৎক্ষণিক নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী, শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাবনা শহর থেকে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় জড়ো হয়। পরে তারা শহরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে পুলিশ বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় উভয়ের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। তবে এ ঘটনায় পুলিশসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের মেইন গেটে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে কলেজের ডিগ্রি বটতলা মোড়ে ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের ৫টি মোটরসাইকলে ভাঙচুর করেছে। পরে মূল শহর দখল করে ব্যাপক শোডাউন দিয়ে বাস টার্মিনালের দিকে চলে যায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ‘সকাল থেকেই আমরা ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। কিন্তু টার্মিনালে হঠাৎ করেই পুলিশের ওপর হামলা করা হয়। তখন আমরা আত্মরক্ষার্থে টিয়ারশেল ও শর্টগান ব্যবহার করতে হয়েছে। তাদের হামলায় পুলিশের বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/পিএস)

মন্তব্য করুন