বিক্ষোভে গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে রিট, আদেশ মঙ্গলবার
বিক্ষোভে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই রিটে কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ককে ডিবির হেফাজত থেকে পরিবারের কাছে ফেরত পাঠানোর নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছিল। দুটো বিষয়েরই শুনানি শেষে মঙ্গলবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এতে বলা হয়, সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ও ছাত্রলীগের আক্রমণে নিহত শত শত শহিদের আত্মত্যাগ তিরস্কার করে ডিবি কার্যালয়ে বন্দুকের নলের মুখে জিম্মি করে সমন্বয়কদের মাধ্যমে জোরপূর্বক স্ক্রিপ্টেড বিবৃতি আদায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমাদের দাবি আদায়ে আমরা অবিচল ছিলাম, রয়েছি এবং থাকব।
একই দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলামের মা মমতাজ নাহার ডিবি কার্যালয়ে যান ছেলেকে দেখতে। তবে তাকে দেখতে দেওয়া হয়নি। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নিজের পরিবার বা মায়ের আঁচলের চেয়ে পুলিশের হেফাজতে কীভাবে কেউ নিরাপদ থাকবে! আমরা ওকে দেখার জন্য ডিবি অফিসে প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আমাদের নিষেধ করা হয়েছে। সে (নাহিদুল) বা আমরা (পরিবারের) কেউই পুলিশের কাছে কোনো নিরাপত্তা চাইনি।”
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে মিন্টো রোডে ডিবি হেফাজতে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের কাছ থেকে সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে। সমন্বয়কদের নামে একটি যৌথ লিখিত বিবৃতি গণমাধ্যমে আসে, ওখানে ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের, সারজিস আলম, নুসরাত তাবাসসুমের স্বাক্ষর দেখা গেছে।
এছাড়া রাতে প্রচারিত একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হয়। ওই ভিডিও বার্তায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডিবি কার্যালয়ে থাকা সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/এফএ)