বিশ্বম্ভরপুরে আন্দোলনকারী ও আ.লীগ-পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ, আহত শতাধিক
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে আন্দোলনকারী, আ.লীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ তিন পক্ষের শতাধিক আহত হয়েছে। এই ঘটনায় উপজেলায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ অবস্থান করেছে।
সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিক শুক্কুর আলীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনায় প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
রবিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের হাসপাতাল ও থানার মাঝামাঝি স্থানে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, সকাল ১১টার দিকে দিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে এগিয়ে আসে। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও আসে। মিছিল দুটি বিশ্বম্ভরপুর থানার সামনে আসলেই আওয়ামী লীগ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ ফাঁকা গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে আন্দোলকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয় পক্ষই ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশ, শিক্ষার্থী ও আওয়ামী লীগের শতাধিক নেতা কর্মী আহত হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে ৫৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বতর আহত দুই জন শিক্ষার্থীকে সুনামগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
তবে দিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ মিয়া, খায়রুল মিয়া, চাঁদ আক্তার ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোহাগ মিয়াসহ ১৫-২০জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষার্থী।
দ্বিগেন্দ্র বর্মণ ডিগ্রি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র শাহ রাকিব ও মামুনুর রশিদ মামুন জানান, বোরহান আহমেদ ও ফোরকান মিয়ার অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে গেলে আমাদের উপর হামলা করা হয়।
এই বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক জানান, ইটের আঘাতে আমিসহ আমার ৭ জন সহকর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আহত হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহেনা মারুফ ফারুকী জানান, সংঘর্ষে শিক্ষার্থী, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ শতাধিক আহত হয়েছে। গুরুতর আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/পিএস