সালথা-নগরকান্দায় টানা বৃষ্টিতে আমন চাষিদের কপালে ভাঁজ

অসময়ে টানা বৃষ্টিতে কপালে ভাঁজ পড়েছে ফরিদপুরের সালথা ও নগরকান্দা উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের আমন চাষিদের। জমিতে পানি বাড়ায় এ দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে তলিয়ে যেতে পারে কৃষকদের স্বপ্নের ধান ক্ষেত। আশঙ্কা চাষিদের।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সালথা ও নগরকান্দায় এবারও প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ধানের বীজ বপন ও চারা রোপণের কাজ শেষের পথে। তবে কিছু এলাকায় এখনো রোপা আমন ধানের চারা রোপণের কাজ চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।
সালথার রঘুয়ারকান্দী গ্রামের ধানচাষি মো. হাফেজ মোল্যা বলেন, পানির অভাবে পাট ভাল হয়নি। দামও কম পাচ্ছি। ভেবেছিলাম ধান আবাদ করে কিছুটা পুষিয়ে নেব। কিন্তু বৃষ্টির কারণে মাঠে-ঘাটে যেভাবে বর্ষার পানি ঢুকছে তাতে ধান খেত তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। যদি ধান খেত তলিয়ে যায় তাহলে আমরা পথে বসে যাবো।
নগরকান্দার বিনোকদিয়া এলাকার ধানচাষি আবু তালেব মোল্যা বলেন, প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ায় নিচু জমির ধান ইতোমধ্যে তলিয়ে যেতে শুরু করেছে। খেত থেকে দ্রুত পানি নেমে না গেলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবো। তিনি সার-ওষুধের দাম কমিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুদর্শন শিকদার বলেন, পানি বাড়ায় ধান খেতের কোনো ধরনের ক্ষতি নেই। বরং উপকার হবে। এবার সালথায় ১২ হাজার ২৯৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ধানের বীজ বপন ও চারা রোপণের কাজ শেষের দিকে।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলোক কুমার ঘোষ বলেন, নগরকান্দায় এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু নিচু জমিতে পানি বাড়ায় কিছুটা চিন্তিত চাষিরা। যদি টানা বৃষ্টি না হয় বা বর্ষার পানি না বাড়ে তাহলে তেমন সমস্যা হবে না। তবে পানি বাড়লে ধানচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান তিনি।
(ঢাকাটাইমস/১৭আগস্ট/পিএস)

মন্তব্য করুন