সবজির স্বস্তি নিয়ে চালের বাজারে গিয়ে হোঁচট

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ১৪:০৭
অ- অ+

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কমছে সবজির দর। কোনো কোনো সবজির দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে। এতে স্বস্তিতে ক্রেতারা। তবে চালের বাজারে গিয়ে হোঁচট খাচ্ছেন তারা। গত এক মাসে সব ধরনের চাল কেজিতে বেড়েছে ৪ টাকার মতো।

শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি পাইকারি ও খুচরা বাজারে এমনই তথ্য মিলেছে।

চালের আক্রা বাজারের কারণ জানেন না খুচরা ব্যবসায়ীরা। তবে মিলাররা বলছেন, এ সময়ে ধানের সরবরাহ সাধারণত কম থাকে, তাই চালের দাম কিছুটা উঠতি থাকে। আমন ধান আসতে শুরু করলে আগের জায়গায় নেমে আসবে দাম।

এদিকে এখন পণ্য পরিবহনে চাঁদা ও অন্যান্য খাতে বাড়তি খরচ হচ্ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাই কাঁচাবাজারে দাম অনেকটা কমে এসেছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে পটল, যা মাসখানেক আগে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এক মাস আগের ১৫০ টাকার বেগুন ও করলা মিলছে অর্ধেকের কম দামে। ১০০ টাকার বরবটি এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা।

তবে কাঁচামরিচের দাম এখনো চড়া। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।

মাছের বাজার কিছুটা নিম্নগতি। বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় অন্য মাছের চাহিদা কম। দামও পড়তি। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৫৫০ টাকায়। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এসব স্বস্তির মধ্যে কাঁটার মতো খচখচ করছে চালের দর। মোটা, মাঝারি ও সরু– সব ধরনের চাল কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৪ টাকা।

প্রতি কেজি মোটা চাল (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) ৫২ থেকে ৫৫ টাকা, যা মাসখানেক আগে ছিল ৫০ থেকে ৫৩ টাকা। ৫৪ থেকে ৫৬ টাকায় বিক্রি হওয়া মাঝারি চাল (বিআর-২৮ ও পাইজাম) এখন ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। মানভেদে সরু চালের কেজি (মিনিকেট ও নাজিরশাইল) ৬৪ থেকে ৭৮ টাকা, যা আগে ছিল ৬২ থেকে ৭৬ টাকা।

সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্য, এক মাসে চালের দর বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। তবে এক বছরের হিসাবে বেড়েছে ৯ শতাংশ।

চালের মূল্যবৃদ্ধিতে খুচরা-পাইকারি ব্যবসায়ী ও মিল মালিকরা পরস্পরকে দায়ী করছেন। খুচরা-পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিলাররা কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়াচ্ছেন। আর মিলাররা বলছেন ধানের সংকটের কথা। সরকারকে মিল পর্যায়ে খোঁজখবর নিয়ে বাজার স্বাভাবিক রাখার পরামর্শ দেন অনেকে।

কারওয়ান বাজারের একজন চাল ব্যবসায়ী বলেন, এক মাস ধরে বাড়ছে চালের দাম। প্রতি বস্তায় (৫০ কেজি) ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেড়েছে। মিলাররা ধান সংকটের অজুহাত দিচ্ছেন। উৎপাদন এলাকার মিল পর্যায়ে ধান-চালের মজুতের পরিমাণ তদারক করলে আসল চিত্র বের হবে। সরকারের উচিত এখনই তদারকি বাড়ানো।

অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিং মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ বলেন, প্রতি বছর এ সময় ধান-চালের দর একটু বেশি থাকে। কারণ এখন ধানের মৌসুম নয়। ধানের মজুত কমে এসেছে। যারা মজুত করেছিলেন, তারা কিছুটা বেশি দরে ধান বিক্রি করছেন। দুই মাস পর আমন উঠলে কেজিতে অন্তত ৫ টাকা কমে যাবে।

এদিকে কিছুটা বাড়তি দর দেখা গেছে ডিমের বাজারেও। এক মাসে ডিমের ডজনে ৫ টাকার মতো বেড়েছে। এখন হালিপ্রতি দাম ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা।

তবে মুরগির বাজার অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৭০ থেকে ১৭৫ ও সোনালি ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আলুর কেজি ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় স্থিতিশীল। তবে মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা। দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১২০ ও পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে রান্নার মশলাসহ আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদির দাম অপরিবর্তিত।

(ঢাকাটাইমস/২৩আগস্ট/জেআর/মোআ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
গাজীপুরে হাসনাত আব্দুল্লাহর গাড়িতে হামলা, আটক ২ 
পল্লবীতে বিশেষ অভিযানে পেশাদার ছিনতাইকারীসহ ২৬ জন গ্রেপ্তার
হাসনাত আব্দুল্লাহর ওপর হামলার প্রতিবাদে বাংলামোটরে এনসিপির বিক্ষোভ
দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকট অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে পারে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা