বর্ষায় বাড়ে জ্বর-সর্দি-কাশি, পাঁচটি খাবারেই রয়েছে সমাধান
বাংলাদেশে এখন ভরা বর্ষা। এই আবহাওয়াতেই ফের দাঁত-নখ বের করছে একাধিক ভাইরাস। এসব ভাইরাসের ফাঁদে পড়েই জ্বর, সর্দি, কাশির মতো ছুটকো সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তাই এমন অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য চিকিৎসকরা সবাইকে ইমিউনিটি বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।
ইমিউনিটি মানে হলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ইমিউনিটি হলো শরীরের সৈন্যদল। তারা ঠিকমতো কাজ করতে পারলেই কোনো ভাইরাসই শরীরের উপর আক্রমণ চালাতে পারবে না। ফলে জ্বর, সর্দি, কাশির খপ্পরে পড়ার আশঙ্কাও কমবে।
ভাবছেন নিশ্চয়ই, কীভাবে চটজলদি ইমিউনিটি বাড়াবেন? তাহলে জেনে রাখুন, আমাদের আশপাশেই এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। তাই আর অহেতুক দেরি না করে এমনই পাঁচ খাবার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
সাইট্রাস ফল
আমাদের অতি পরিচিত সব লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি-এর ভাণ্ডার। এই ভিটামিনই ইমিউনিটিকে চাঙ্গা করার কাজে একাই একশো। লেবুতে থাকা ভিটামিন সি শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি করতে পারে। যার ফলে বাড়ে ইমিউনিটি। তাই সুস্থ-সবল থাকার ইচ্ছে থাকলে প্রতিরোধে একটা লেবু খেতেই হবে।
ব্রকোলির জুড়ি মেলা ভার
ব্রকোলির মতো একটি অনন্য সবজিকে পাতে রাখলে একাধিক চমকপ্রদ উপকার মিলবে। এমনকি বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। তাই সারা পৃথিবীর তাবড় বিজ্ঞানীরা নিয়মিত পাতে ব্রকোলির পদ রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই এবং অন্যান্য উপকারী কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এ সমস্ত উপাদানই কিন্তু ইমিউনিটিকে চাঙ্গা করার কাজে একাই একশো। তাই সময় সুযোগ থাকলে ব্রকোলি খেতে ভুলবেন না যেন!
মহৌষধ রসুন
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে রসুনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এমনকি ইমিউনিটির ধার বাড়ানোর কাজেও রসুন অত্যন্ত কার্যকরী বলে দাবি করেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
কারণ রসুনে রয়েছে অ্যালিসিন নামক একটি সালফার যৌগ। এই উপাদানই ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে একাই একশো। সেই সঙ্গে নিয়মিত রসুন খেলে কমে ব্লাড প্রেশার। তাই স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে প্রতিরোধে এক কোয়া কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেতেই পারেন।
আদা খেলেই দূরে থাকবে রোগব্যাধি
জ্বর, সর্দি, কাশির মতো সমস্যার থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার ইচ্ছে থাকলে আদা কুঁচি খেতেই হবে। কারণ আদায় রয়েছে জিঞ্জেরল নামক একটি উপাদান। এই উপাদান কিন্তু ইমিউনিটিকে চাঙ্গা করার কাজে সিদ্ধহস্ত।
এমনকি প্রদাহ বা ইনফ্লামেশন প্রশমিত করার কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই নীরোগ জীবন কাটানোর ইচ্ছে থাকলে যত শিগগির সম্ভব আদার সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন।
পাতে থাকুক পালংশাক
পালংশাক হলো পুষ্টির ভাণ্ডার। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ-সহ একাধিক উপকারী খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
তাই নিয়মিত পালংশাক খেলে যে একাধিক রোগের ফাঁদ সহজেই এড়িয়ে যেতে পারবেন, তা তো বলাই বাহুল্য! সুতরাং ইমিউনিটিকে চাঙ্গা করার ইচ্ছে থাকলে নিয়মিত পাতে পালংশাকের পদ রাখুন। এতেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৫আগস্ট/এজে)