সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের নামে দিনাজপুরে আরও একটি হত্যা মামলা

জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের নামে দিনাজপুরে আরও একটি হত্যা মামলা হয়েছে।

রবিবার (২৫ আগস্ট) রাতে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম রাহুলের বড় ভাই ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।

এই মামলায় সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে।

এর আগে ১৯ আগস্ট রবিউল ইসলাম রাহুলকে হত্যার অভিযোগ এনে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে অপর একটি মামলা করেন দিনাজপুর জেলা যুবদলের নেতা রুহান হোসেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, হলেন—জেলা যুবলীগ নেতা রাশেদ পারভেজ, আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ শাহ আলম, মো. আশরাফুল আলম রমজান, মানিক রঞ্জন বসাক, যুবলীগ নেতা মো. মিথুন, সুইট, ওবাইদুর রহমান, ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, শেখপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, শশরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মকছেদ আলী রানা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামানসহ ৩১ জন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট সকাল থেকে সারা দেশের মতো দিনাজপুরে স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দেন। সেই আন্দোলনে রবিউল ইসলাম রাহুলও অংশ গ্রহণ করেন। আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার মোড় ও জিলা স্কুলের সামনের সড়কে পৌঁছালে সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের পরোক্ষ মদদ ও উস্কানিতে তার লোকজন হামলা চালায়। হামলাকারীরা শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি ছুঁড়লে রবিউল ইসলাম রাহুল দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। তাকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ৯ আগস্ট রবিউল ইসলাম রাহুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহত রবিউল ইসলাম রাহুল দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই মহারাজপুর এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি রানীগঞ্জ এহিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, হত্যা, হত্যার উদ্দেশ্য ও ভয়ভীতির অপরাধসংক্রান্ত ধারায় রবিবার বিকালে একটি মামলা হয়েছে। আন্দোলনে নিহত রবিউল ইসলামের বড় ভাই মামলাটি করেছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬আগস্ট/পিএস)