নতুন রপ্তানি বাজার
বাংলাদেশে তৈরি হোন্ডা মোটরসাইকেল যাচ্ছে মধ্য আমেরিকার গুয়েতেমালায়

দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লিমিটেড (বিএইচএল)। কোম্পানিটি মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়েতেমালায় প্রথমবারের মতো নিজেদের বাজার তৈরি করেছে। দেশটিতে পাঠানো হয়েছে হোন্ডা মোটরসাইকেলের চালান।
বিএইচএল জানায়, গেল জানুয়ারিতে তারা পরীক্ষামূলকভাবে গুয়াতেমালায় এক্স-ব্লেড মডেলটি বিমানপথে পাঠিয়েছে। এই সফলতার ধারাবাহিকতায় ৩ সেপ্টেম্বর সমুদ্রপথে প্রথম রপ্তানি চালানের যাত্রা শুরু হয়েছে। ভবিষ্যতে দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্য আমেরিকা এবং আফ্রিকায় রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বিএইচএলের অবদান আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা কর্তৃপক্ষের। বিএইচএল বলছে, নতুন রপ্তানি বাজারের পদক্ষেপটি স্থানীয় সরবরাহ বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং মোটরসাইকেল ব্যবসার মাধ্যমে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, এই উদ্যোগ বাংলাদেশকে বিশ্বমানের দুই চাকার বাজারে উন্নীত করতে বিএইচএল-এর প্রতিশ্রুতি প্রতিফলিত করে এবং বিশ্বজুড়ে কিছু উন্নত অঞ্চলে উচ্চমানসম্পন্ন মোটরসাইকেল সরবরাহ করতে সাহায্য করবে।
বিএইচএল-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও শিগেরু মাতসুজাকি বলেন, ‘আমরা দুটি মূল পদক্ষেপ নিচ্ছি– স্থানীয় সরবরাহ বৃদ্ধি এবং রপ্তানি শুরুর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সহায়তা করা এবং মোটরসাইকেল ব্যবসার মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।’
চিফ প্রোডাকশন অফিসার, হিরোইকি ইয়াসুনাগা বলেন, “গুণগত মান ও উদ্ভাবনের প্রতি বিএইচএল টিমের মনোযোগ এই মাইলফলক অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমরা আন্তর্জাতিক ও দেশীয় বাজারে কঠোর মানদণ্ড পূরণকারী বিশ্বমানের মোটরসাইকেল উৎপাদনে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
চিফ মার্কেটিং অফিসার, শাহ মুহাম্মদ আশেকুর রহমান বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের এই অংশগ্রহণ শুধু আমাদের ব্র্যান্ডের বৈশ্বিক সুনাম উন্নত করে না, বরং আমাদের স্থানীয় কৌশলগত উদ্দেশ্যগুলোকে আরও দৃঢ় করে।”
মুন্সীগঞ্জের আবদুল মোনেম ইকোনোমিক জোনে হোন্ডা বাংলাদেশের উৎপাদন কারখানায় এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কোম্পানিটি স্বল্প ব্যয়ের দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। কোম্পানিটি কাঁচামাল আমদানির জন্য কর অব্যাহতি এবং রপ্তানি প্রণোদনার জন্য সমর্থন চাচ্ছে; যাতে বৈশ্বিক বাজারে তার অবস্থান সুদৃঢ় করা যায়। তারা অংশীদার, যেমন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), শুল্ক দপ্তর (ডিইডিও) এবং আমাদের ব্যাংকিং অংশীদারদের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য এই উদ্যোগগুলো সমর্থনের জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।
(ঢাকাটাইমস/০৩সেপ্টেম্বর/ইএস)

মন্তব্য করুন