কোনাবাড়ীতে ছাত্র হত্যায় কনস্টেবল আকরাম গ্রেপ্তার

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:১১| আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:১৬
অ- অ+
কনস্টেবল আকরাম (বামে), গত ৫ আগস্ট কলেজছাত্র হৃদয়ের পিঠে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গুলি করে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে (২০) হত্যার মামলায় পুলিশ কনস্টেবল মো. আকরাম হোসেন (২২) গ্রেপ্তার হয়েছেন।

শুক্রবার কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মো. আকরাম হোসেন গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন।

নিহত হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে অটোরিকশা চালাতেন।

বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী সড়কের কোনাবাড়ী এলাকায় গত ৫ আগস্ট মো. হৃদয় (২০) সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। ওই সময় শিল্প পুলিশে কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্য কোনাবাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এসময় তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল আকরাম অতি উৎসাহী হয়ে তার পেছন দিক থেকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনায় নিহতের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনোবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কনস্টেবল আকরামকে শনিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।’

বাদী মামলায় উল্লেখ করেন, ‘সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা ২৫০-৩০০ জন সন্ত্রাসী ছাত্রদের ওপর হামলা চালান।

এসময় আমার মামাতো ভাই হৃদয় প্রাণভয়ে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন। এর কিছুক্ষণ পরেই অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা মো. হৃদয়কে দোকান থেকে টেনেহিঁচড়ে রাস্তার ওপরে নিয়ে যান।

পরে তাকে পুলিশ সদস্যরা ঘেরাও করে আগ্নেয়াস্ত্র পেটে ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে লাশ গুম করেন। যা আমি ও আমার আশপাশের লোকজন ভিডিও ধারণ করি।

ওই ঘটনায় ৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও চিত্রে দেখা যায়, ছয়জন পুলিশ ওই যুবককে ধরে নিয়ে পাশের গলিতে নিয়ে যান। পরে তারা তাকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলেন। এর মধ্যে থেকে এক পুলিশ সদস্য হৃদয়ের মুখে চড়থাপ্পড় মারেন। এরপর পুলিশের মধ্য থেকে এক সদস্য তার পিঠে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে। এতে তাৎক্ষণিক তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

(ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আ.লীগকে নিষিদ্ধ করলে ভালো হতো: জামায়াত আমির
জামালপুরে মাদ্রাসায় ছাত্রী ভর্তিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
ইউনাইটেড হাসপাতালের কাছে ডিএনসিসির কর বকেয়া ৩০ কোটি টাকা
শহীদ নিজামীর খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ: রফিকুল ইসলাম 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা