পল্লী বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় অতিষ্ঠ তিতাসের মানুষ

কুমিল্লার তিতাসে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা, তার ওপর চলছে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে মানুষ। গরমে এবং না ঘুমাতে পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকে। আধ ঘণ্টার মতো বিদ্যুৎ দিয়ে দুই ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় এই উপজেলায়।
এদিকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিলে ফোন ধরেন না- এমন অভিযোগ উঠেছে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। এই উপজেলায় লোডশেডিং এমনই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে যে, বিদ্যুৎ এই আছে তো এই নেই। বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলায় বিপর্যস্ত এই উপজেলার জনজীবন।
পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় এ অবস্থা। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকছে দিনের অধিকাংশ সময়। গড়ে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা, কোথাও আবার এর চেয়েও বেশি সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। লোডশেডিংয়ে ব্যাহত হচ্ছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাজ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত এক সপ্তাহের তীব্র লোডশেডিংয়ে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক। তাই জীবন-জীবিকা স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতের দাবি সবার।
অটোচালক সাইফুল বলেণ, ‘ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। আমাদের অটোরিকশা ফুল চার্জ করতে পারি না। রাতে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হয়। এমনিতেই আমাদের এখানে তীব্র গরম চলছে, তার ওপর আবার বিদ্যুৎ থাকে না। খুব কষ্টে আছি।’
কড়িকান্দি বাজার এলাকার গৃহিণী মনোয়ারা বেগম, আয়েশা বেগম আক্ষেপ করে বলেন, এই উপজেলায় ২৪ ঘণ্টায় বিদ্যুৎ থাকে না ১৫-১৬ ঘণ্টা। এতে ফ্রিজে থাকা সব জিনিস নষ্ট হয়ে যায়। রিচার্জেবল ফ্যান বা আইপিএস থাকলেও বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে বাসাবাড়িতে তাও চার্জ হয় না।
উপজেলার বলরামপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন বলেন, দিন-রাত মিলিয়ে ২০-৩০ বার লোডশেডিং হয়। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। রাতে ঘুমাতে পারি না। রাতে ভোল্টেজ কম থাকায় ফ্যানও ঘুরতে চায় না। একে তো গরম, তার ওপর লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা পড়েছেন মহা বিপদে।’
এই অবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত বিদ্যুতের লুকোচুরি বন্ধ করে যেন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩-এর তিতাস সাব-জোনাল অফিসের এজিএম মো. ওসমান ফারুক ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কম হওয়ায় এবং পাওয়ার গ্রিডে টেকনিক্যাল সমস্যা থাকায় ফুল লোড নিতে পারছে না। এক সপ্তাহের মধ্যে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।’
(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এজে)

মন্তব্য করুন