খুলনা মেডিকেল কলেজের ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি
খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি (শিক্ষাকার্যক্রম স্থগিত ও হোস্টেল থেকে বহিস্কার) দেওয়া হয়েছে। রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ সূত্র মতে, খুলনা মেডিকেল কলেজের কতিপয় ছাত্রছাত্রীর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের উত্থাপিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগগুলো তদন্তের লক্ষ্যে গঠিত তদন্ত কমিটির দাখিল করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রবিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় কলেজের ১৮ শিক্ষার্থী অপরাধী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়।
এর মধ্যে এ এম কোরাইশ-ই-হুদা ( কে-২৭) এবং বাপ্পি কুমরা দে ( কে-২৮) কে এক বছরের জন্য শিক্ষাকার্যক্রম স্থগিত এবং আজীবন হোস্টেল থেকে বহিস্কার, শেখ জিসান আহমেদ জীম (কে-৩১), সেলিম বিন আমিন স্বপ্ন (কে-৩২) এবং অঞ্জন কুন্ডু ( কে-৩২) কে ৬ মাসের জন্য শিক্ষাকার্যক্রম স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে ৬ মাসের জন্য বহিস্কার, শোভন বিশ্বাস (কে-২৯), আশফাক হোসেন আনান ( কে-২৯), মো: নাফিস ফুয়াদ (কে-২৯), সন্দীপ মহন্ত ( কে-২৯), নাদিম সরকার ( কে-৩০), মলয় শিকদার ( কে -৩০), মো: মাহফিজুর রহমান ( কে-৩১), মো. রোবায়েত হোসেন রিফাত ( কে-৩১), ওেমা: তানভীরুল ইসলাম ( কে-৩১), মো: সেফায়েতুর রহমান ( কে ৩১) এবং নির্যাষ নট্ট ( কে-৩২) কে দুই মাসের জন্য শিক্ষাকার্যক্রম স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে ক দুই মাসের জন্য বহিস্কার এবং মেহেদী হাসান সাজ্জিম ( কে-৩১) এবং শিহাব বাবু ( কে ৩১) কে এক মাসের জন্য শিক্ষাকার্যক্রম স্থগিত এবং হোস্টেল থেকে এক মাসের জন্য বহিস্কার করা হয়।
এ ব্যাপারে খুলনা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো: দীন-উল-ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রছাত্রীদের উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এ শাস্তি দেওয়া হয়।
এর আগে লেভার বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা: গোলাম মাসুদ কে সভাপতি করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ১৮ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
(ঢাকাটাইমস/০৯সেপ্টেম্বর/এজে)