শেরপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ দুজন নিহত

শেরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই মহল্লার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে ছাত্রদল নেতাসহ দুজন নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় কমপক্ষে ৮টি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার দিনগত রাত সাড়ে ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- শহরের গৌরীপুর মহল্লার মৃত মৌলভী আজাহার আলীর ছেলে ট্রলিচালক মিজানুর রহমান মিজান (৩৫) ও একই মহল্লার ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দোলোয়ার হোসেন মিন্টুর ছেলে শ্রাবণ (২২)।

এর মধ্যে শ্রাবণ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ (মঙ্গলবার) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সোমবার গৌরীপুর ও খোয়ারপাড় মহল্লার দুই দল কিশোরের মধ্যে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে শহরের শাপলা চত্বরে কথা কাটাকাটি হয়। তারই জেরে রাতে দুই মহল্লার লোকজন ব্যাপক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে দুই মহল্লার বাসিন্দারা মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে দুই পক্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়।

এসময় গৌরীপুর মহল্লার ট্রলিচালক মিজানকে খোয়ারপাড় শাপলা চত্বর এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী এবং পুলিশের দুটি দল তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে গুরুতর আহত শ্রাবণকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে আজ (মঙ্গলবার) সকালে তিনিও মারা যান। শ্রাবণ নৌহাটা মহল্লায় বসবাস করতেন। তিনি শেরপুর জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।

এদিকে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ টহল দেওয়ায় এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত। তবে দুজন নিহতের ঘটনায় এলাকাবাসী শঙ্কিত।

(ঢাকাটাইমস/১০সেপ্টেম্বর/এজে)