ধামইরহাটে ইউএনওর হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো বাল্যবিবাহ
নওগাঁর ধামইরহাটে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আফসানা (১৪) নামে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রী বাল্যবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার উমার ইউনিয়নের আট নম্বর ওয়ার্ড অমরপুর হঠাৎপাড়া গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ‘মৃত গোলজার হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আফসানার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এ কারণে কনের পরিবার থেকে পাত্রপক্ষসহ প্রায় ৪০ জন অতিথিদের খাওয়ার প্রস্তুতিও চলছিল।
কনের নানি পারভীন বলেন, 'সোহাগ রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সে বিদেশে কাজ করার জন্য বিয়ে করে বউকে দেশে রেখে ব্রুনাইয়ে যাবে। এ কারণে নাতনির সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।'
বরের মা মমতা বলেন, ‘ছেলে বিদেশ যাবে এ কারণে ভেবেছিলাম, আমার যেহেতু মেয়ে নাই সে কারণে ছেলেকে বিয়ে দিয়ে মেয়ে হিসেবে ছেলের বউকে কাছে রাখবো। বাল্যবিবাহের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। কিন্তু এ বিষয়ে ইউএনও মহোদয় আমার ভুল ভেঙে দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আসমা খাতুন বলেন, ‘অমরপুর হঠাৎপাড়া এলাকা থেকে ফোনের মাধ্যমে একটি অভিযোগ পাই, যে আফসানা নামের ১৪ বছরের একটা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। সেই খবরের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে এসে অভিযোগের সত্যতা পাই এবং অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে মেয়ের নানি যেহেতু বিয়েটি দিচ্ছিলেন এ কারণে বাল্যবিবাহ আইনে তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
(ঢাকা টাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/এসএ)