শ্যামনগরে সাবেক এমপি দোলনের বাড়িতে শিবিরের হামলার অভিযোগ
শ্যামনগরে ছাত্রশিবিরের দাওয়াতি কার্ড বিতরণে বাধা দেওয়ার ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আতাউল হক দোলনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা ছাত্রশিবিরের কিছু নেতাকর্মী সংগঠনের কাজ করার জন্য দাওয়াতি কার্ড নিয়ে গুমাতলী ফাজিল মাদ্রাসায় যান। সেখানে এসএম আতাউল হক দোলনের ছোট ছেলে রাব্বির নেতৃত্বে ১০-১২ জন উপস্থিত হয়ে বাধা দেয়। এ সময় কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রাব্বির নেতৃত্বে ছাত্রশিবির কর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হয়।
হামলার ঘটনায় ছাত্র শিবিরের চার নেতাকর্মী আহত হলে তাদের শ্যামনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তারা হলেন, কাশিমাড়ি ইউনিয়ন ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. রাশিদুল ইসলাম, পৌরসভার যাদবপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম, মিয়ারাজ ও মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের আসাদুল্লাহ।
এই ঘটনার জেরে ছাত্রশিবিরের কিছু কর্মী বিকালে আতাউল হক দোলনের বাড়িতে হামলা করেন। তারা তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে শ্যামনগরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফকির তাইজুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাবেক সংসদ সদস্য আতাউল হক দোলন বলেন, ‘আমার ও আমার পিতার বাড়ি ছাত্রশিবিরের কর্মীরা সংঘবদ্ধভাবে ভাঙচুর করে। ঘরের আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার, বিশুদ্ধ পানির প্লান্ট, তিনটি মোটরসাইকেল ও আমার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ভেঙে নষ্ট করে। ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতি হয়েছে।’
জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি এনামুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে দাওয়াতি কার্ড বিতরণের সময় আওয়ামী লীগ নেতা দোলনের ছেলের নেতৃত্বে আমাদের ভাইদের ওপর হামলা করা হয়। এতে আমাদের কয়েকজন ভাই আহত হয়েছেন। তবে তার বাড়িতে হামলার বিষয়টি আমাদের জানা নেই।’
(ঢাকাটাইমস/৩অক্টোবর/মোআ)