হাসিনা ৪১ সাল পর্যন্ত থাকলে স্বাধীনতা দিল্লির পায়ের নিচে থাকত: ফারুক
‘শেখ হাসিনা যদি ৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতো তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিল্লির পায়ের নিচে থাকত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক।
শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে’ জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির আয়োজনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেন, “১৬ বছরের নির্যাতন, ১৬ বছরের আয়নাঘরে থাকা, ১৬ বছরের গুম, ১৬ বছরের খুন, করা স্বৈরাচারিনী শেখ হাসিনাকে আল্লাহ পাক দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। বাবার দেশ হিসেবে তিনি গর্ব করতেন সেই বাবার মৃত্যুর মাসেই তিনি বিদায় নিয়েছেন।”
তিনি বলেন, “সাংবাদিক ভাইয়েরা গুলি খেয়েও সংবাদ সংগ্রহ করেছেন কিন্তু ওই সংবাদগুলো প্রচার করতে পারেন নাই। মির্জা ফখরুল কী বলেছেন সেগুলো কাটসাট করে প্রকাশ করা হয়েছে।”
‘কিছু কুচুক্রি মহল এখনো দেশের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে আছে তারা বিভিন্ন ধরনের প্রবাগান্ডা ছড়াচ্ছে’ মন্তব্য করে বিএনপি এই নেতা বলেন, “এই স্বৈরাচারিনী গণহত্যাকারিনী শেখ হাসিনা মদদপুষ্টু মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিন এই ১১ সেপ্টেম্বরেই তারেক রহমানকে প্লেনে চড়িয়ে বিদেশে পাঠিয়েছিল। ডক্টর ইউনুস এখনো কেন তারেক রহমানের নামের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করলেন না আমরা যখন গ্রামে যাই মানুষ আমাদেরকে জিজ্ঞেস করে। দেশের মানুষ উপদেষ্টাদের কাছে জানতে চায়, এখনো কেন শেখ হাসিনার প্রেত্মারা সচিবালয়ে বসা। বিভিন্ন জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থাকা শেখ হাসিনার প্রেতাত্মারা সারাদেশে এখনো শেখ হাসিনার কথাই বলছে। এখনো কেন শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ যুবলীগ নিষিদ্ধ হলো না দেশের মানুষ জানতে চায়।”
তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা যদি ৪১ সাল পর্যন্ত থাকতো তাহলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিল্লির পায়ের নিচে থাকত। যারা মায়ের বুক খালি করেছে তারা কীভাবে ভারতে পালিয়ে গেল তাদের নামে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে ড. ইউনূস সরকারকে। তারেক রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই যে নির্বাচনে কবর থেকে উঠে এসে ভোট দিতে না পারে, একজন ব্যক্তি যেন একটা ভোটই দিতে পারে। ডক্টর ইউনুস সরকারকে যৌক্তিক সময় নিয়ে অবশ্যই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। অবিলম্বে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জনপ্রতিনিধিদের হাতে দেশের দায়িত্বভার দেওয়া হোক। ইনশাল্লাহ এক ভোট এক মাথা তারেক রহমান ফিরে আসবে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী হয়ে।”
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এস এম শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মোহা. নেসারুল হক, আনোয়ার হোসেন বুলু, ন্যাশনাল পিপুলস পার্টি সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কারী আবু তাহের, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব সাইফুল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, ডিএল-এর সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/১১অক্টোবর/এমআই/এফএ)