বিচারপতি গোলাম মর্তূজাকে চেয়ার‌ম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৫৭| আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২৩
অ- অ+
বিচারপতি গোলাম মর্তূজা

হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারকে চেয়ারম্যান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

সোমবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। চলতি মাসে আদালত বিচার কার্যক্রম শুরু করবে বলেও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা জানান, ছাত্র-জনতা হত্যার বিচারে তিন বিচারকের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিটি) পুনর্গঠন করা হয়েছে।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শক্রমে হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের কাজ সম্পন্ন করেছি। এ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন হাইকোর্টের বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদার। এছাড়া সদস্য হিসেবে আছেন হাইকোর্টের আরেকজন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মহিতুল হক এনাম চৌধুরী।’

আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা আজ রাতের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ চলে এসেছে। আমরা সামারি পড়ে দিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠনের কথা জানান আইন উপদেষ্টা

বিচারিক আইন সংশোধন ও মানোন্নয়নের কথা জানিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের যে অবস্থা ছিলোল, আমরা তা ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করছি। আমরা এতে অনেক সংশোধন এনেছি। যেমন— আসামিপক্ষ যেকোনো দেশের আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন, যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অবজার্ভার হিসেবে থাকতে পারবে। সাক্ষ্য আইনের ক্ষেত্রে ডিজিটাল সাক্ষ্যের যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতার বিধান এনেছি।’

‘অপরাধের সংজ্ঞার ক্ষেত্রেও আমরা রোম স্ট্যাটিউট মোতাবেক করার চেষ্টা করেছি। এসব সংশোধনী নিয়ে আমরা অংশীজনদের মতামতও নিয়েছি। এসব সংশোধনী হয়তো এ মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু সংশোধনীর জন্য বিচার আটকে থাকবে না’, আইন উপদেষ্টা।

ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘এখন যে অবস্থা আছে, এ অবস্থাতেই বিচার শুরু হতে পারে। আমাদের দুর্ভাগ্য, জুলাই-আগস্টে গণহত্যায় যারা দায়ী ছিল বলে আমরা মনে করি, যারা প্রকাশ্যে গুলির হুমকি দিয়েছে, তাদের অনেকেই গ্রেপ্তার হননি, আত্মগোপনে আছেন। পলাতকদের বিচারের বিধান এই আইনে আছে।’

এর আগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টের আরও চারজন আইনজীবীকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে তৎকালীন সরকার। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহের বিচার করার উদ্দেশ্যে এই ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। এই আদালতে যুদ্ধাপরাধ, গণহত্যা, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম কমলো
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে কোন পাত্রে পানি পান করা সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর
গাজায় ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত ইসরাইল, স্থায়ী শান্তিতে উদ্যোগী ট্রাম্প
সরকারি অনুদান পাচ্ছে ৩২ চলচ্চিত্র, তালিকা প্রকাশ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা