উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে: মুন্না

উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, ‘একটি মহল বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করছে। আদতে যার কোনো ভিত্তি নেই।’

সোমবার খুলনা মহানগরে এক যৌথ কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাধীনতার মূল চেতনা সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন পথযাত্রায় জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দিক-নির্দেশনামূলক এই যৌথ কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় ‘‘শেষ ভালো যার, সব ভালো তার’’ প্রবাদ উল্লেখ করে মুন্না বলেন, ‘গত ১৭ বছরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারের চেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার আর কেউ হয়নি। তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমান— ওনারাতো তাদের নির্যাতনের কথা বলেন না।’

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছরে যত জুলুম-নির্যাতন করেছে তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে বলেন, ‘বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়নি এবং কেউ যায়নি। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার।’

মুন্না বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য ও দখলদারিত্বসহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তার নির্দেশে সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা দখল, চাঁদাবাজিসহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছেন।

যুবদল সভাপতি আরও বলেন, ‘বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারির ঠাঁই নেই। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ ফায়দা লোটার চেষ্টা করলে শক্ত হাতে তাকে দমন করা হবে। দলের জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাজে জড়িয়ে পড়লে আমরা কিন্ত এক বিন্দুও ছাড় দেবো না। যারা বিএনপির নামে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি করবে, তাদের পুলিশে ধরিয়ে দেবেন।’

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মুন্না বলেন, ‘সব রাজনৈতিক, মিথ্যা, সাজানো মামলা প্রত্যাহারের কথা করতে হবে। গুম খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক ও খুলনা জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

(ঢাকাটাইমস/১৪অক্টোবর/জেবি/এসআইএস)