ভারতকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় পাকিস্তানের

ফুটবলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল হলো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা। ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও রিয়েছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল। আর তারা হলো ভারত-পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক, বয়সভিত্তিক কিংবা নারীদের ম্যাচেও এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াই মানেই বাড়তি উত্তেজনা। পাকিস্তান জিতুক, কখনো এমনটা চাইবে না চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত।
তবে মাঝেমাঝে পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, চিরশত্রুরও কল্যাণ কামনা করতে হয়। ভারত অবশ্য করেছে নিজেদের স্বার্থেই। চলমান নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের ভাগ্য ঝুলছিল পাকিস্তানের কাঁধে। বড় জয় পেলে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ ছিল ফাতিমা সানাদেরও। কিন্তু নিউজিল্যান্ড তাদের সে সুযোগ দিলো না।
নিউজিল্যােন্ডের কাছে ৫৪ রানে হেরে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর থেকে বিদায় নিলো পাকিস্তান। অন্যদিকে দুর্দান্ত জয়ে ২০১৬ সালের পর এই প্রথম সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করলো নিউজিল্যান্ড।
পাকিস্তানকে ডুবলো ভারতকে নিয়েই। কারণ, ভারতীয়রা বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাতেই হতো পাকিস্তানের। সেটি না হওয়ায় বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয় ভারতকেও।
টসে জিতে নিউ জ়িল্যান্ড আগে ব্যাটিং নেওয়ায় শুরুতেই চাপে পড়েছিল পাকিস্তান। প্রথম পাঁচ ওভারে নিউজিল্যান্ডের রানের গতি খারাপ ছিল না। বিনা উইকেটে ৩৪ রান তুলে দিয়েছিল তারা। সুজি বেটসের ক্যাচ ছাড়েন নাশরা সান্ধু। পরের ওভারে ওপেনার প্লিমারকে আউট করেন তিনিই। অষ্টম ওভারে ওমাইমা ক্যাচ ছাড়েন অ্যামেলিয়া কেরের। রান তুলছিলেন বেটস। তাকেও ফিরিয়ে দেন সান্ধু।
এরপরেই নিজেদের স্লো স্পিনিং বলের সুবিধা নিতে থাকে পাকিস্তান। ব্যাটে-বলে সংযোগে সমস্যা হচ্ছিল দুবাইয়ের মাঠে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ছয় উইকেট হারিয়ে ১১০ রান তোলে নিউজিল্যান্ড।
নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস শেষ হওয়ার পর জানা যায় সেমির সমীকরণ। ১০.৪ ওভারের মধ্যে রান তুলে দিলে ভারত, নিউজিল্যান্ডকে টপকে শেষ চারে যাবে পাকিস্তান। ১০.৪ ওভারের পরে রান তুললে ভারত সেমিফাইনালে যাবে। পাকিস্তান হেরে গেলে নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনালে যাবে। এমন সমীকরণ মাথায় রেখে প্রথম বল থেকে আগ্রাসী খেলতে থাকে পাকিস্তান। প্রথম ওভারে সাত রান ওঠে। তবে দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন আলিয়া রিয়াজ়। তৃতীয় ওভারে মুনিবা আলি ফেরেন বোল্ড হয়ে। চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান।
চতুর্থ ওভারে বল করতে আসেন ইডেন কারসন। সেখানে মেইডেন ওভারের কারণে আরও চাপে পড়ে পাকিস্তান। পঞ্চম ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে তারা। ষষ্ঠ ওভারে সিদরা আমিন ফিরে যাওয়ার পরেই নিশ্চিত হয়ে যায় বিশ্বকাপ থেকে ভারত আর পাকিস্তানের বিদায়।
পরের তিনটি ওভারে কোনও উইকেট পড়েনি। মাত্র ২০ রান ওঠে। নির্ধারিত ১০.৪ ওভার হওয়ার আগেই আরও দু’টি উইকেট হারায় তারা। ফিরে যান নিদা দার এবং ওমাইমা। ১২তম ওভারে তিনটি উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের জয়ের আশা এবং ভারতের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ করে দেন অ্যামেলিয়া।
(ঢাকাটাইমস/১৫ অক্টোবর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন