ঐতিহ্যবাহী বায়ুকলের ইউনেস্কো স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে ইরান

শস্য পিষানোর জন্য ব্যবহৃত ঐতিহ্যবাহী উল্লম্ব-অক্ষের বায়ুকল বা ‘আসবাদ’ এর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে ইরান। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেস্কো) বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় শতাব্দীর প্রাচীন কাঠামোটির অন্তর্ভুক্তির জন্য ইতোমধ্যে একটি ডসিয়ার সম্পূর্ণ করা হয়েছে।
প্রাচীন এই বায়ুকলগুলি পূর্ব ইরানের মানুষের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে দক্ষিণ খোরাসান, খোরাসান রাজাভি এবং সিস্তান-বেলুচেস্তান প্রদেশের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রাকে সহজ করে তোলে ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিটি।
দক্ষিণ খোরাসান এই উদ্ভাবনী কাঠামোগুলির জন্মস্থান এবং প্রাথমিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হয়। ইরানের প্রায় ৭৯ শতাংশ আসবাদের আবাসস্থল এই অঞ্চলে। বুধবার বার্তা সংস্থা ইরনা এই খবর জানিয়েছে।
ইরানের প্রাচীন বায়ুকল বা আসবাদ হচ্ছে শস্য পিষার জন্য একটি স্মার্ট কৌশল। এটি এমন একটি কৌশল যা প্রাচীন যুগে ব্যবহার করা হতো। ইরানের পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী লোকেদের প্রকৃতির সঙ্গে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার এবং পরিবেশগত বাধাগুলিকে সুযোগে রূপান্তর করতে এটি ছিল একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। বায়ুকলে মৌসুমী ১২০ দিনের বাতাসকে কাজে লাগানো হতো।
খোরাসানের বৃহত্তর অঞ্চলজুড়ে একসময় আসবাদ ছিল খুবই সাধারণ বিষয়। দক্ষিণ খোরাসানে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩১০টির অধিক বায়ুকল এখনও দাঁড়িয়ে আছে। সূত্র: তেহরান টাইমসঢাকাটাইমস/১৯অক্টোবর/ইএস

মন্তব্য করুন