শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও ষড়যন্ত্র পালায়নি: গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ‘সংবিধানের অজুহাত দিয়ে কোনো সংস্কারকাজ যেন আটকে না থাকে। পৃথিবীর কোনো বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি, হয় না। বাংলাদেশেও জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্জিত বিপ্লব সংবিধান মেনে হয়নি। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র পালায়নি। তিনি বিদেশে বসে দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। এ সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে।’
শনিবার সকালে শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটোরিয়ামে জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৫-১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আন্দোলন করতে গিয়ে কেউ ঘুম-খুন হয়েছে, কেউ হামলা-মামলার শিকার হয়েছে। এসব অপকর্ম যারা করেছে তারা সবাই গ্রেপ্তার হয়নি। রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি, বিচার প্রক্রিয়াও এখনও শুরু হয়নি। এজন্য সরকারের কাছে দাবি খুনিদের অনতিবিলম্বে বিচার করতে হবে। খুনিদের বিচার না করলে সমাজ আঘাতপ্রাপ্ত হবে এবং দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশের আলেম ওলামাদেরকেও ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের ওপর চরম জুলুম নির্যাতন করেছে শেখ হাসিনা। জলুমুদের অবসান হয়েছে। এখন সময় এসেছে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধানে জনগণের আকাঙ্খার প্রতিফলন না হলেই জনগণ বিপ্লবের মাধ্যমে জন আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটায়। বিপ্লবের মাধ্যমে কোনো সরকার পদত্যাগ করে না বরং ক্ষমতাচ্যুত হয়। পদত্যাগ সংবিধান মেনে হয় কিন্তু ক্ষমতাচ্যুত সংবিধান মেনে হয় না, বিপ্লবের মাধ্যমে হয়।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ক্ষমতার আমলে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা এ আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাট করেছে। এখন সেই টাকা দিয়েই দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রের সকল স্থান নষ্ট করে দিয়েছে। জাতীয় ঐক্যের ভিত্তি হবে ২৪ এর গণবিপ্লব। এই বিপ্লবের চেতনায় সকল ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে।’
জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ মুহা. আবদুর রব হাসেমীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী মাওলানা মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের ফরিদপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অ্যাডভোকেট আজমল হোসাইন, মাদারীপুর জেলার সাবেক আমীর আব্দুস সোবহান, শরীয়তপুর জেলার সাবেক আমীর মাওলানা খলিলুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের বিভাগীয় প্রধান আজাহারুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য কেএম মকবুল হোসাইন।
(ঢাকা টাইমস/২৬অক্টোবর/এসএ)

মন্তব্য করুন