বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দ্রুতই শুরু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাজধানীর পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদরদপ্তরে বিদ্রোহে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দ্রুতই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)। তিনি বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত অবশ্যই হতে হবে। আর সেটা দ্রুতই হবে।
সোমবার সকালে রাজধানীর পিলখানায় বিজিবি সদরদপ্তর পরিদর্শনের পর একথা বলেন তিনি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের উদ্দেশে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সীমান্তে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। চোরাচালান যেন না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে।
তিনি জানান, বিজিবিকে সীমান্তে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। বেআইনি আদেশ না পালন করতে বলা হয়েছে। সীমান্ত দিয়ে যেন অবৈধ পণ্য প্রবেশ না করে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশ নিষেধ। কিন্তু মানবিক একটা দিক রয়েছে। ওই বেল্টে আপনারা জানেন সারাদিনই গোলাগুলি হচ্ছে। এদের কিন্তু আবার পাঠিয়ে দেওয়া হয়, খুব একটা বেশি রোহিঙ্গা কিন্তু ঢুকতে পারে না। আমাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গা আছে। এখন ১৩ লাখের মতো হয়ে গেছে। কিছু ঢুকছে আমিও অস্বীকার করি না। তাদের আবার পাঠিয়ে দেব।
রমনা থানার ৫০ গজের মধ্যে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে। পুলিশের নীরব ভূমিকা। এমনটা কেন হচ্ছে? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এ মুহূর্তে এটা আমি জানি না। এজন্য উত্তরটা আমি দিতে পারব না। আমি গিয়ে দেখব।
বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকার সব পুলিশকে পরিবর্তন করা হয়েছে। বিজিবিরও অনেককে পরিবর্তন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক। অপরাধী যতই ক্ষমতাশালী হোক, ছাড় দেওয়া হবে না।
এর আগে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সকালে রাজধানী ঢাকার পিলখানাস্থ বিজিবি সদরদপ্তরে আসেন। সকাল ৯টায় পিলখানাস্থ সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে বিজিবি সদরদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, অন্যান্য পদবীর কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা এবং সকল পর্যায়ের বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদরদপ্তরে (বর্তমান নাম বিজিবি) বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোড়ন তোলে ওই ঘটনা।
এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে মুক্তি আটকে আছে ৪৬৮ বিডিআর সদস্যের।
(ঢাকাটাইমস/৪নভেম্বর/এলএম/ইএস)
মন্তব্য করুন