খাসির মাংসে ক্যানসারের বীজ! বাড়ায় ওজন আর ডায়াবেটিসও
খাসির মাংসের কথা শুনলে অনেকেরই জিভে পানি চলে আসে। বাসা থেকে খেয়ে বেরিয়েও প্রায় তারা দোকানে গিয়ে খাসির কাচ্চির প্লেট নিয়ে বসে পড়েন। আর বিয়ে-সাদীর দাওয়াত হলে তো কথাই নেই। কবজি ডুবিয়ে খান গরু-খাসির মাংস।
মাসে এক-দুই দিন চলতে পারে এভাবে। বাড়িতেও রান্না করে খেতে পারেন বহুমূল্যের খাসির মাংস। কিন্তু যদি প্রায়ই পাতে তোলেন, তাহলে আপনার জন্য দুঃসংবাদ শোনাচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। জটিল সব রোগের কারণ এই মাংস।
চলুন তবে আর দেরি না করে নিয়মিত খাসির মাংস খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই। তারপর হয়তো আপনিও এই মাংস থেকে যোজন যোজন দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন। তাতেই ভালো থাকবে আপনার স্বাস্থ্যের হাল-হকিকত।
লুকিয়ে ক্যানসারের বীজ
আপনার আমার প্রতিদিনকার খাবারের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে ক্যানসারের বীজ। খাসির মাংসটিই তার উৎস। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের কথায়, এ ধরনের মাংস যেভাবে রান্না করেই খান না কেন, কারসিনোজেনিক। অর্থাৎ ক্যানসার ডেকে আনতে পারে।
ডায়াবেটিস বৃদ্ধির কারণ
রক্তে সুগার সবসময় তুঙ্গে? খাসির মাংস খেলে তা বাড়বে বৈ কমবে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, মাংস খাওয়ার পর রক্তের সুগার লেভেল অনেকটাই বেড়ে যায়। যা কখনো কখনো রীতিমতো বিপদ ডেকে আনে।
ওজন বৃদ্ধি
ওজন বাড়িয়ে দেয় মাংসের ফ্যাট। বাঙালির অতি প্রিয় খাসির মাংসই সেই কালপ্রিট। এটি খেলে দ্রুত ফ্যাট জমতে থাকে শরীরে। ফলে ওজন বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। আর একবার ওজন বেড়ে গেলে পিছু নেয় নানা জটিল রোগ।
কোলেস্টেরলও বাড়ায়
রক্তে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় মাংস। উদ্ভিজ্জ খাবারে খারাপ কোলেস্টেরল থাকে না। যা থাকে তা মূলত প্রাণীজ কোলেস্টেরলেই। গরু-খাসির মাংসই তার উৎস। তাই এই মাংস নিয়মিত পাতে তুললেই কিন্তু পড়বেন খারাপ কোলেস্টেরলের খপ্পরে।
শুধু তাই নয়, খাসির মাংসের মতো ফ্যাট জাতীয় খাবার উচ্চ রক্তচাপেরও অন্যতম কারণ। কারণ, রক্তে যখন খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যায়, তখন স্বাভাবিক ভাবে রক্তচাপও বাড়ে। যা পরে ভয়ানক বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
(ঢাকা টাইমস/০৮নভেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন