মণিরামপুরে বিএনপি নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি যুবলীগ নেতার 

ঢাকা টাইমস ডেস্ক
  প্রকাশিত : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৩| আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৭
অ- অ+

যশোরের মনিরামপুরে বিএনপি নেতাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। মণিরামপুরের হরিহরনগর ইউনিয়নের দশআনী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, প্রয়াত বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলামের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দশআনী গ্রামের শাহাজান কবির ওই গ্রাম থেকে বেশ কয়েকজন কর্মী নিয়ে স্মরণসভায় যোগ দেন। এতে ঈর্ষান্বিত হয়ে মণিরামপুর থানা বিএনপির ইকবাল গ্রুপের নেতা রেজাউল মেম্বার তাকে শায়েস্তা করার জন্য শেখ হাসিনা আমলের অসংখ্য নাশকতা মামলার সাক্ষী হারুনকে উসকে দেন। হারুন ও তার ভাই বাসার গত মঙ্গলবার রাতে শাহাজানকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে আক্রমণ করে প্রাণনাশের চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় তিনি গত বুধবার মণিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন এবং ঐদিন বিকেলে পুলিশ এলাকায় এসে খোঁজখবর নিয়ে চলে যায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে হারুনের ছেলে যুবলীগ নেতা মোখলেছুর ওরফে মুকলি যশোর শহর থেকে বাড়ি আসেন এবং দলবল নিয়ে দশআনী বাজারে আতংক সৃষ্টি করেন। এসময় মোখলেছুর গালিগালাজ ও খুন করার প্রকাশ্য হুমকি দিলে শাহাজান প্রাণভয়ে দ্রুত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাজার থেকে সরে পড়েন।

উল্লেখ্য, মোখলেছুর যশোরের শীর্ষ সন্ত্রাসী পুলিশের হাতে আটক ম্যানসেলের একান্ত সহযোগী। বিগত দিনে তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলায় ফাঁসিয়ে চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। চাঁদার দাবিতে তিনি ইতিপূর্বে এক সরকারি চাকরিজীবীকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে জানা যায়, যার অডিও ভাইরাল হয়। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরে তিনি কিছুদিন গাঢাকা দিলেও স্থানীয় খাটুরা বাঁওড় দখলের জন্য বিএনপি নেতা রেজাউল মেম্বার (ইকবাল গ্রুপ) এবং হরিহরনগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম তাদের দল ভারি করতে মোখলেছুর, আ. ছাত্তারসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় দিচ্ছেন।

অন্যদিকে বিএনপির নিবেদিত প্রাণ শাহাজান কবিরের বাঁওড়ের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকলেও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের (মুছা গ্রুপ) সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। মুছা গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে সখ্যতা রাখায় এবং গ্রাম্য আধিপত্য ধরে রাখতে বিএনপি নেতা রেজাউল মেম্বার আওয়ামী সন্ত্রাসী দিয়ে শাহাজানকে খুন বা বড় ক্ষতি করানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোচিত এবং জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা অবগত থাকলেও তারা গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত আছেন বলে জানা যায়।

(ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/এফএ)

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা
প্রিজাইডিং অফিসারকে লাঞ্ছিতের মামলায় শাহিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত
জাবিতে প্রজাপতি মেলা শুক্রবার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা