অটোরিকশার ব্যাটারি নিতে খুন করা হয় কিশোর চালককে, গ্রেপ্তার ২

মাত্র সাড়ে ছয় হাজার টাকার অটোরিকশার ব্যাটারি নেওয়ার জন্যই ফরিদপুরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৩ বছর বয়সী রিকশাচালক হোসাইন বেপারীকে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল।
হোসাইনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত মূল হোতা ফরিদপুর শহরের ভাটি লক্ষীপুরের তুষার চৌধুরীর ছেলে তুফান চৌধুরী (২১) এবং চুরি করা ব্যাটারি কেনার অপরাধে একই এলাকার মৃত নুরু হাওলাদারের ছেলে আল আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে আসামি শনাক্ত এবং গ্রেপ্তারের জন্য মাঠে নামে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৪ জনুয়ারি) দিবাগত রাত আটটার দিকে ফরিদপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আটক দুজনের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন পুলিশ সুপার। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত তুফান ও তার সহযোগী আগে থেকেই পরিকল্পনা করে হোসাইনের অটোরিকশা প্রতি ঘণ্টা ২৫০ টাকায় ভাড়া নেয়। শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে রাতে তাকে শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুরে একটি মাদ্রাসার দেয়ালের পাশে নিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যায়।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত আরো একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছে পুলিশ- এ কথা জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ‘তাকে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। তার নাম প্রকাশ করছি না।’ গ্রেপ্তার দুজনকে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি দুপুরে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় হোসাইন। রাতে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। পরদিন ৩ জানুয়ারি সকালে শহরের ভাটি লক্ষ্মীপুরে একটি মাদ্রাসার দেয়ালের পাশ থেকে তার হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গলায় রশি প্যাঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয় হোসাইনকে।
হোসাইন শহরের চর টেপাখোলা এলাকার মৃত খোকা বেপারীর ছেলে। গত ৪ জানুয়ারি হোসাইনের বড় বোন চম্পা আক্তার বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫জানুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন