ঋণের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে হত্যা, ঘাতক গ্রেপ্তার

ঋণের টাকা অস্বীকার করায় দুধের সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করার পর ঘাড় মটকে হত্যা করা হয়েছে বরিশালের গৃহবধূ হাসিনা বেগমকে (৪০)।
বুধবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর একমাত্র আসামি ফিরোজ হাওলাদার (৩৬) পুলিশকে এ তথ্য জানান।
আসামির প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এই তথ্য পাওযার কথা নিশ্চিত করেন বরিশাল নগর গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর ছগির হোসেন।
এর আগে বুধবার বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া গ্রাম থেকে ফিরোজ হাওলাদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চার বছর আগে মাসিক চার হাজার টাকা সুদ দেয়ার শর্তে হাসিনা বেগম দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন অভিযুক্ত ফিরোজের কাছ থেকে। সেই ঋণের টাকা অস্বীকার করায় গত সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া গ্রামে নিজের বাসায় ডেকে নিয়ে ওই নারীকে হত্যা করেন তিনি।
এ ঘটনায় বন্দর থানায় ফিরোজকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহতের স্বামী ওমর আলী।
ফিরোজ হাওলাদার বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া গ্রামের ইউসুফ হাওলাদারের ছেলে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফিরোজের স্বীকারোক্তির বরাতে ইন্সপেক্টর ছগির হোসেন বলেন, আট মাস আগে হাসিনা বেগম দাবি করেন তিনি ফিরোজের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নেননি। টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করায় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ফিরোজ।
এরপর হাসিনা বেগমের বিপদ দূর ও মুখে হওয়া ঘা উপশম করতে এক হুজুরের পানিপড়া খাওয়ার পরামর্শ দেন ফিরোজ। গত সোমবার বিকেলে হুজুরের পানিপড়া খাওয়ার কথা বলে হাসিনাকে নিজ বাসায় ডেকে নেন ফিরোজ। তখন পানিপড়ার বদলে দুধে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে তাকে খেতে দেন। কিছুক্ষণ পর হাসিনা অচেতন হয়ে পড়লে তার ঘাড় ভেঙে হত্যা করেন ফিরোজ। এরপর হাসিনার গলায় রশি পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে তিনি।
ইন্সপেক্টর বলেন, হত্যা নিশ্চিতের পরে হাসিনার শরীর থেকে সব গহনা খুলে নেন ফিরোজ। এরপর হাসিনার লাশ পার্শ্ববর্তী খালে ফেলে দেওয়া হয়।
এদিকে হাসিনা বেগমকে হত্যায় জড়িত ব্যক্তির দ্রুত বিচার দাবিতে বুধবার দুপুরে এক ঘণ্টা চরকাউয়া খেয়া পরাপার বন্ধ রেখে মানববন্ধন করে মাঝিমাল্লা সমিতিসহ এলাকাবাসী।
(ঢাকাটাইমস/৫ফেব্রুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন