সশস্ত্র বাহিনী গড়তে স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১:৫২
অ- অ+

আধুনিক ও যুগোপযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়তে স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে। বুধবার ‘৩৬ জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনী সংস্কার কমিশন গঠনে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।

ঢাকার মিরপুর ডিওএইচএসে জাস্টিস ফর কমরেডস অফিসে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন কর্নেল ফেরদৌস আজিজ (অব.)। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হাসান নাসিরের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাকির, কর্নেল (অব.) শাহনুর, কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান। এতে ভুক্তভোগী বিভিন্ন পদমর্যাদার অর্ধ-শতাধিক অফিসার উপস্থিত ছিলেন।

গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ বছর উচ্চপর্যায়ের একাংশকে রাজনীতিকরণ সহ সশস্ত্র বাহিনীকে দলীয় লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত করে। জুলাই আন্দোলনে চূড়ান্ত পর্যায়ে জুনিয়র অফিসার ও সাধারণ সৈনিকদের আপত্তির প্রেক্ষিতে সশস্ত্র বাহিনীর মূল অংশকে জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহারের ব্যর্থতায় ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে, অবাস্তব ও বানোয়াট অভিযোগের ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর পাঁচশতাধিক অফিসার এবং সহস্রাধিক অন্যান্য পদবির সৈনিক চরম অন্যায় ও অবিচারের শিকার হন।

এতে বলা হয়, ২০০৮ সালের জুলাই থেকে সুপরিকল্পিত বিডিআরে নিযুক্তি দিয়ে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৫৭ জন দক্ষ সেনা কর্মকর্তাকে ঠান্ডা মাথায় খুনের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীকে ধ্বংসের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছিল। একসঙ্গে সংক্ষুব্ধ, প্রতিবাদকারী ও ভিন্নমতাবলম্বী অফিসারদের চাকুরিচ্যুত করা হয়। এসবের পেছনে নির্ধারিত বয়সসীমা ২৬ বছর হওয়ার আগে বিয়ে এবং বাবা শ্বশুরপক্ষ ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শী হওয়া অন্যতম। এছাড়া দাঁড়ি রাখা বা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার কারণে প্রশাসনিক আদেশে বরখাস্ত করা হয়েছে। মহিলা অফিসারকে হিজাব পরায় প্রতিনিয়ত অপদস্থ ও চাকুরিচ্যুতি করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপব্যবহার বা দখলে অসহযোগিতা করায় বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়। এমনকি ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে বিডিআর তদন্ত কমিশনের মিথ্যা নাটকে সহায়তা না করায় অবসরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। বিডিআর তদন্তে সংবেদনশীল তথ্য উৎঘাটন করায় অন্তত পাঁচজন জুনিয়র অফিসারকে তাপস হত্যার সাজানো মামলায় দীর্ঘ সময় গুম-নির্যাতন করে, কাগুজে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে কারাদণ্ড হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, মেজর জিয়াউল হককে 'ভুয়া সেনা অভ্যুত্থান'-এর মাধ্যমে গুরুতর সন্ত্রাসী হিসেবে দেশে-বিদেশে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। আটক ও গুম থেকে বাঁচতে তিনি পালিয়ে দেশ ছাড়েন। এছাড়া মেজর জাহিদকে পরিকল্পিত জঙ্গি নাটকে পুলিশ দিয়ে জনসম্মুখে হত্যা করা হলেও মিডিয়াতে তা প্রকাশ পায়নি। তার স্ত্রীকেও জঙ্গি সাজিয়ে শিশু-সন্তানসহ দীর্ঘ দিন কারাগারে রাখা হয়েছিল। ভিন্ন রাজনৈতিক ধারার হওয়ায় কর্মকর্তাদেরকে প্রাপ্য সামরিক সুযোগ সুবিধা থেকে গণহারে বঞ্চিত বা সুবিধা সীমিত করা হয়েছিল।

স্বাধীন নিরপেক্ষ জাতীয় প্রতিরক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে আপিল বিভাগের (অবসরপ্রাপ্ত) বিচারপতিকে সভাপতি করে কমিশনের গঠন হতে পারে। এতে অভিজ্ঞ মানবাধিকার কর্মী একজন, সচেতন নাগরিক (শিক্ষক, আইনজ্ঞ, সমাজসেবী) প্রতিনিধি তিনজন, তিন বাহিনীর জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা তিনজন এবং তিন বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা তিনজন রাখার সুপারিশসহ বিভিন্ন দাবি জানানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/০৫ফেব্রুয়ারি/এসএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
যে কারণে স্থগিত হয়ে গেল ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ১০০ দিন: যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি গোটা বিশ্ব পরিচালনার দাবি
গুলশান থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো অভিনেতা সিদ্দিককে
রংপুরে রোহিঙ্গা নারীকে জন্মনিবন্ধন দেওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা