সোহানের লড়াকু সেঞ্চুরির পরও হতাশার হার ধানমণ্ডির

শুরু হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) সপ্তম রাউন্ডের খেলা। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে ধানমন্ডি স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। মোহামেডানের দেওয়া সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে বাকিদের ব্যর্থতায় একাই হাল ধরেছিলেন নুরুল হাসান সোহান।
তার ব্যাটে আশাও দেখছিল ধানমণ্ডি স্পোর্টস ক্লাব। কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে শেষদিকে একাই ম্যাচ জেতানোর চাপে পড়ে তিনি। আর তাতে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে ডোবেন হতাশার সাগরে।
মিরপুরে শুক্রবার (২১ মার্চ) ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ম্যাচে মোহামেডানের বিপক্ষে ২৩ রানের ব্যবধানে হেরেছে ধানমণ্ডি। ২১৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৩.৩ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানে থামে সোহানের দল। মোহামেডানের পক্ষে ৩৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাইফ উদ্দিন। এছাড়া তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম ২টি করে উইকেট তুলে নেন। দল হারলেও ৯৩ বলে ১০ চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রানের লড়াকু ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন সোহান।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, মোহামেডানের ২১৬ রানের ছোট পুঁজির বিপক্ষেও বড় ব্যবধানে হারবে ধানমন্ডি। কেননা ৬৮ রানেই ইনিংসের অর্ধেক উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল সোহানের দল। স্কোরবোর্ডে ১১৭ রান জমা পড়তেই সাজঘরে ফেরেন ধানমন্ডির ৭ ব্যাটার।
এরপর ১৫৮ রানে ৮ উইকেটের পতনের পর মনে হচ্ছিল, ধানমন্ডির হার সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু সেই খাদের কিনারায় দাঁড়িয়েও হিমালয়ের বিশালতা নিয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে শেষ পর্যন্ত দারুণ লড়াই করেন সোহান। সব দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে একাই দলকে ধীরে ধীরে লক্ষ্যের কাছে নিয়ে যেতে থাকেন।
বিপর্যয়ের মুখে রয়েসয়ে খেললেও হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন ৫৫ বলে। যখন দেখেন কোনো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটার নেই তাকে সঙ্গ দেওয়ার মতো, তখন মারকুটে হয়ে ওঠেন সোহান। সঙ্গীহীন হয়ে লড়াই করেন শেষ ব্যাটারকে নিয়ে। আউট হওয়ার আগে ইনিংসের ৪৩তম ওভারে মোহামেডান পেসার সাইফউদ্দীনকে টানা দুই বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে ৯২ বলে শতরান পূর্ণ করেন সোহান।
তিন নম্বর বলে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে আবার ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানার একদম সামনে তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ধরা পড়েন সোহান। শেষ হয় ধানমন্ডি ক্যাপ্টেনের ৯৩ বলে ৪ ছক্কা ও ১০ বাউন্ডারিতে সাজানো ১০০ রানের সাহসী ও দৃঢ়চেতা ইনিংস। স্বস্তির জয়ে উল্লাসে মেতে ওঠে মোহামেডান শিবির।
এ জয় লিগ টেবিলে মোহামেডানের অবস্থান সমৃদ্ধ করেছে। এখন ৭ ম্যাচে ৫ জয়ে মোহামেডানের পয়েন্ট দাঁড়ালো ১০। অন্যদিকে সমান ম্যাচে ধানমন্ডি ক্লাব হারলো চতুর্থবারের মতো।
এর আগে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৬ রান সংগ্রহ করেছিল মোহামেডান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন তাওহীদ হৃদয়। ৪৭ বলে ৫ চারের মারে সাজানো ছিল তার অপরাজিত ইনিংসটি। এছাড়া ৭৭ বলে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৪৪ আর ৬৪ বলে রনি তালুকদার ৩৯ রান করেন। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৫৩ বলে করেন ২৬ রান। ধানমণ্ডির পক্ষে ৫৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। (ঢাকাটাইমস/২১ মার্চ/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন