এসপির দুর্নীতি নিয়ে ব্যারিস্টার সারোয়ারের মন্তব্যের প্রতিবাদ জানাল পুলিশ

প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতিতে জড়িত থাকলেও বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না— সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেনের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এই প্রতিবাদ জানানো হয়।
সংগঠনটি বলছে, পুলিশের কোনো কর্মকর্তা অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ অনুসন্ধানপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠা বেশ কয়েকজন পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করে তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান ও বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আইনজীবী সারোয়ারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানো বিবৃতিতে সই করেছেন পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মতিউর রহমান শেখ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান।
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলছে, 'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সারোয়ার হোসেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সংক্রান্ত একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন ১৬ এপ্রিল পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ সম্পর্কে কম বেশি ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি উল্লেখপূর্বক খাতওয়ারী দুর্নীতির বিভিন্ন পরিমাণ উল্লেখ করেছেন। এমনকি, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না বলে তিনি বক্তব্যে দেন। তবে পুলিশ বাহিনীর কোনো কর্মকর্তা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ অনুসন্ধানপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে অনেকগুলো জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানপূর্বক বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান।'
বিবৃতি আরও বলা হয়, ‘আইন অনুযায়ী সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়া কারো বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে এ রকম বক্তব্য উপস্থাপন করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মানহানির শামিল। একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে কোনো অনুসন্ধান ছাড়া দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার বলায় আমাদের হতাশ করেছে এবং পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীর মনোবলকে দুর্বল করা ও সুনাম জনসমক্ষে হেয় করার শামিল।’
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিটি সদস্য সব সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলা সুরক্ষায় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
(ঢাকাটাইমস/১৭এপ্রিল/এসএস/এমআর)

মন্তব্য করুন