নির্বাচন দিতে দেরি করলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে: রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের এই মুহূর্তে নির্বাচন দেওয়া দরকার। কারণ নির্বাচন দিতে দেরি করলে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হবে, দেশের বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমে যাবে, অস্থিরতা ও বেকারত্ব বাড়বে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে ও অর্থনৈতিক সমস্যা তৈরি হবে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন দিতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর নাজমা গার্ডেন মিলনায়তনে বিএনপির ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, বাংলাদেশে যত পরিবর্তন হয়েছে, সব জিয়া পরিবারের হাত ধরেই হয়েছে। ৩৬ দিনে বিপ্লব হয়নি। এই বিপ্লবে সবার অবদান ও অংশগ্রহণ ছিল বলেই বিপ্লবটি সফল হয়েছে। তিনি দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় তিনি বলেন, বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকার সমস্ত শক্তি দিয়ে বিএনপির ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল। বিএনপি রাজপথে থেকে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করেছে। কারো সাথে আঁতাত করেনি। বিএনপি যদি আঁতাত করতো তাহলে জেল খাটতে ও নির্যাতনের শিকার হতে হতো না।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। কারণ দেশের জনগণ আমাদের সাথে আছে এবং থাকবে। জনগণের সেন্টিমেন্টকে ধারণ করার চেষ্টা করবেন। জনগণ ক্ষমতায় গেলে কেউ ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, পালাতে হবে। যেমন হাসিনা পালিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে তারেক রহমানের বাংলাদেশ। ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
কর্মশালায় ৩১ দফার উপর আলোচনা করেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক বিশিষ্ট চিকিৎসক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল। এছাড়াও কর্মশালায় আলোচনা করেন মিডিয়া সেলের সদস্য মোর্শেদ হোসেন খান, সাবেক ছাত্র নেতা ফজলুর রহমান খোকন ও অ্যাডভোকেট ফারজানা শারমিন পুতুল।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোফাজ্জল হোসেন দুলালের সভাপতিত্বে ও বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় কর্মশালায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমেদ।
কর্মশালায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এজেডএম রেজওয়ানুল হক, আলহাজ আক্তারুজ্জামান মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকশেদ আলী মঙ্গোলিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোকাররম হোসেনসহ জেলা বিএনপি ও বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ প্রতিটি ইউনিটের ১০ জন করে নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/২৪এপ্রিল/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন