জবি শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবিতে গণঅনশন শুরু

চার দফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা গণঅনশনে নেমেছেন। শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে যমুনা অভিমুখে ব্যারিকেডের সামনে এই গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন বিভিন্ন বিভাগের বর্তমান শিক্ষার্থীরা, তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরাও। অনশনে অংশ নিতে শিক্ষার্থীরা অনশন ডেস্কে নাম এন্ট্রি করে বসছেন এবং যারা সরাসরি অনশনে না বসে কর্মসূচিকে সমর্থন করছেন, তারা অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। বর্তমানে অনশনরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫০ জনেরও বেশি।
আন্দোলনের সূচনালগ্নে তিনটি দাবি তুলে ধরা হলেও, ১৪ মে শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার ঘটনায় নতুন একটি দাবি যুক্ত হয়েছে। সেটি হলো—হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। এছাড়া বাকি দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা, জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে তা অনুমোদন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ একনেক সভায় পাস ও দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
গণঅনশনে নেতৃত্বদানকারী ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান বলেন, আমাদের আন্দোলন এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে এখন আর পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বিজয় না নিয়ে ফিরছি না।
ব্যবসায় অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শেদ এই গণঅনশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলবে।’
অনশনে বসা শিক্ষার্থী কামরুন নাহার বলেন, ‘আমরা আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশণ থেকে উঠবো না। আনরা যখন লংমার্চ নিয়ে আসি তখন আমাদের উপর পুলিশ হামলা করে আমাদের আহাত করে, আমাদের শিক্ষকদের আহত করে। আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে ফিরে যাবো।’
শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত হয়ে আসছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছে।’
একইসঙ্গে শিবিরের শাখা সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম অনশনে বসে বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের দাবি পূরণ হোক, আমরা বিজয় মিছিল নিয়ে আবার ক্যাম্পাসে ফিরে যেতে চাই।’
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘যারা অনশনে বসছেন তারা নিয়ম মেনে নাম এন্ট্রি করে বসছেন এবং অন্য শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছেন।’
শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, ‘আন্দোলনের দুই দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে আমরা অনশনের কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে।’(ঢাকা টাইমস/১৬মে/এসএ)

মন্তব্য করুন