ফ্যাসিস্টের নির্বাচনি প্রক্রিয়া বাতিল করেই নির্বাচনে যেতে হবে: ফরহাদ মজহার

কবি, লেখক, গবেষক, মানবাধিকার কর্মী বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ফরহাদ মজহার বলেন, আমাদের আমূল সংস্কার করতে হবে। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন করা যাবে না। যে নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনও দেশে বিদ্যমান রয়েছে সেটি শেখ হাসিনার। এই ফ্যাসিস্টের নির্বাচনি প্রক্রিয়া বাতিল করেই তো নির্বাচনে যেতে হবে। রাষ্ট্র গঠন এবং নির্বাচন করা দুটি দুই বিষয়। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বগুড়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফরহাদ মজহার বলেন, গণঅভ্যুত্থান মানে জনগণ যখন বিদ্যমান আইন আর স্বীকার করে না, বিদ্যমান আইনের ভিত্তিতে যে ব্যবস্থাটা আছে এটাকে সে আর মানে না। এই বিদ্যমান আইনটাকে সে উৎখাত করে, সেই উৎখাতের সঙ্গে সঙ্গে এই বিদ্যমান আইনে যারা ক্ষমতাসীন, যারা ক্ষমতা নিয়ে বসে আছে তাদেরকে উৎখাত করা। আমরা সেটা করেছি। এখন আসুন রাষ্ট্র গঠন করি। রাষ্ট্র গঠন করে নির্বাচন নিয়ে কথা বলি।
ফরহাদ মজহার আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে প্রত্যেকটি তরুণকে সেনাবাহিনীর অন্তর্ভূক্ত করা দরকার ছিল। একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলা আমাদের প্রথম কাজ ছিল। বাংলাদেশকে রক্ষা করা আমাদের সকলের কাজ। আগে দেশকে ভাবেন। আপাতত নির্বাচন বাদ দিন। প্রথমে দেশ গঠন, তারপর নির্বাচন নিয়ে ভাবুন। তাছাড়া গঠনতন্ত্র সংস্কার করতে হবে। সেইজন্য জনগণের অধিকার অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্র সংস্কার, সংবিধান সংস্কার, নতুন গঠনতন্ত্র করে নির্বাচন হোক। শেখ হাসিনার প্রেতাত্ত্বারা এখনো সজাগ আছে। আমাদেরও সজাগ থাকতে হবে বাংলাদেশের জন্য।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ফরহাদ মজহার বলেন, আমরা কাকে রাজনৈতিক দল বলবো, যদি সে দল জনগণের গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকে, তাকে রাজনৈতিক দল বলবো। এছাড়া রাজনৈতিক দল বলা যাবে না। এবার কিছু বিষয় নিয়ে জনগণকে আগামীতে সচেতন করতে হবে, আমরা যে নতুন রাষ্ট্র গঠন করতে চাই, সেখানে কোন ব্যক্তির অধিকার বা মর্যাদা হরণ করা যাবে না। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের কথা বলিনি, জনগেণের সার্বভৌমত্বের কথা বলেছি। রাষ্ট্রের এমন কোন অধিকার নেই যখন তখন যাকে তাকে ধরে নিয়ে যেতে পারে।
ফরহাদ মজহার আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর পরই আমরা যেই সরকারকে কায়েম করেছি, এই সরকার জনগণের কাছে যাবে। কিন্তু তারা এটা করলেন না। তারা করলেন কি উপর থেকে অনেকগুলো কমিশন বসিয়ে দিলেন। এবার আসুন আগে বাংলাদেশ গঠন করি।মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নদী গবেষক মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, কবি ও সংগঠক মো. রুমেল, বগুড়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব সবুর শাহ লোটাস, বাংলাভিশন বগুড়া ব্যুরো প্রধান ও গবেষক সাংবাদিক আব্দুর রহীম বগড়া, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রেজাউল হাসান রানু প্রমুখ।
(ঢাকা টাইমস/০২মে/এসএ)

মন্তব্য করুন