মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার ১০ উপায়

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ০৯ মে ২০২৫, ১২:১৩
অ- অ+

ভালো স্বাস্থ্য মানে মানসিক আর শারীরিক দুদিক থেকেই সুস্থ বা ঠিক থাকা। অনেকের বেলায় দেখা যায়, শরীর ঠিক থাকলেও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দেন না। শরীর চর্চাকে যেমন অনেকে বিশেষগুরুত্ব দেন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ব্যায়ামের মতো নিয়মিত কিছু অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

শরীরে অসুখ বাঁধলে যত সহজে উপসর্গ ধরা পড়ে, মনের অসুখ ততটাই আড়ালে থেকে যায়। মানসিক স্বাস্থ্যের সুস্থতা জীবন জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি চাপহীন রোগহীন সুখী জীবনের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার বিকল্প নেই।

জীবনযাপনে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে সব মানসিক সমস্যা দূরে ঠেলে মনকে ফুরফুরে করে তুলতে পারেন। তাই আসুন জেনে নিই মানসিক স্বাস্থ্য কীভাবে ঠিক রাখতে পারেন-

. মন স্থির করতে মেডিটেশন

প্রতিদিন কয়েক মিনিট মনোযোগের সঙ্গে মেডিটেশন করতে হবে। এই অভ্যাস নিজেকে নমনীয় রাখবে, মানসিক চাপ কমাবে এবং আত্মসচেতনতা বোধ বাড়িয়ে দেবে।

. শরীরচর্চার বিকল্প নেই

যে ব্যায়াম করতে ভালো লাগে, তাই করতে হবে; হতে পারে হাঁটা, যোগাসন অথবা ভরপুর শরীরচর্চা। ব্যায়াম করলে শারীরিক মানসিক ব্যথা উপশমকারী এন্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ ঘটে। এতে মন প্রফুল্ল থাকে।

.ঘুম শুধু ঘুম

অন্তত আট ঘণ্টা গভীর ঘুম দিতে হবে রাতে। প্রতিদিনের ঝামেলা সামলাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম খুব জরুরি।

. বন্ধুসঙ্গ উপভোগ

পরিবার বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্কের যত্ন করতে হবে। ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সময় কাটালে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ে। এতে সামাজিক যোগাযোগ আরও পোক্ত হয়।

. পরিমিত স্ক্রিন টাইম

প্রতিদিন কতক্ষণ স্যোশাল মিডিয়ায় সময় কাটাবেন তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খবর দেখা, শোনা পড়াও থাকবে সীমার মধ্যে। কারণ অতিরিক্ত নেতিবাচক তথ্য মানসিক অস্থিরতা বাড়িয়ে দিতে পারে।

. ধন্যবাদ দিন

ডায়েরি লেখার মতো অভ্যাসে ফেরা যায়। প্রতিদিনের এমন কোনো তিনটি ঘটনা লিখে রাখুন যা মনের মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ জাগিয়ে তোলে। এতে করে চিন্তাভাবনা ইতিবাচক হয়।

৭. নতুন কিছু শেখা

নতুন কিছু শেখা তাতে দক্ষতা বাড়ানোতে মনোযোগ দিতে হবে। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বজায় থাকবে।

৮. রুটিন মেনে চলা

কাজ, বিশ্রাম, নিজের যত্ন এসব কিছু একটি রুটিন মেনে করা ভালো। এতে করে প্রতিদিনের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে জীবন ফিরে পাবে ছন্দ।

৯. নিজেকে প্রকাশ

ছবি আঁকা, লেখা অথবা গানের মধ্য দিয়ে নিজের আবেগ প্রকাশ করতে হবে। এই অভ্যাস এক রকম থেরাপির মতো কাজ করে।

১০. চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন

যদি মনের দিক থেকে নিজেকে বেসামাল মনে হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে যেতে দ্বিধা করা যাবে না। সুস্থ থাকতে কাউন্সেলিং, থেরাপি খুবই কার্যকর।

(ঢাকাটাইমস/০৯মে/এলকে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রূপগঞ্জে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা
মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার 
শুধুমাত্র বিএনপি নয়, দেশের ৫২টি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়: খন্দকার মোশাররফ 
‘মিলিটারি অপারেশনস জোন’ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর ভিত্তিহীন: সেনাবাহিনী
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা