ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক আর নেই

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন ছিলেন তিনি।
রবিবার বিকাল বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, মরহুমের প্রথম জানাজা আজ (রবিবার) বাদ এশা রাত ৮টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডির তাকওয়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আগামীকাল সোমবার সকাল ১১ টা সুপ্রীম কোর্ট প্রাঙ্গনে দ্বিতীয় এবং বায়তুল মোকাররম মসজিদে বাদ যোহর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর রাজধানীর আজিমপুর গোরস্থানে দাফন করা হবে।
শেখ হাসিনার শাসনামলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকাজে জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক। ২০১৩ সালে জামায়াতের তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি হয়। একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ইংল্যান্ডে চলে যান।
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক ১৯৮৬ সালে জামায়াতে ইসলামীতে যোগ দেন। দলটির সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলও ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে তিনি এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টা হন। গত সেপ্টেম্বরে এবি পার্টি থেকেও পদত্যাগ করেন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
র্দীঘ ১১ বছর পর ২০২৪ সালের ২৭ ডিসেম্বের দেশে ফেরেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর সাংবাদিকদের তিনি জানান, আইন অঙ্গনে কাজ করবেন, রাজনীতিতে ফিরছেন না।
১৯৪৪ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার মাথিউরা ইউনিয়নের শেখলাল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক। বিএ (অনার্স) ও এম এ ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮০ সালে তিনি যুক্তরাজ্যের লিংকনস ইন থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি লন্ডনেই আইন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন।
এরপর ১৯৮৬ সালে দেশে ফিরে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৪ সালে আপিল বিভাগের অন্তর্ভুক্ত হন বরেণ্য এই আইনজীবী। তিনি ১৯৯০ সালে দ্য ল’ কাউন্সেল নামে একটি আইনি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র আইনজীবী হন ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক।
ব্যারিস্টার রাজ্জাকের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলেও ব্যারিস্টার এবং সুপ্রিম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত।
(ঢাকাটাইমস/০৪মে/এমআর)

মন্তব্য করুন