বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ২০ লাখ টাকা দাবি

গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
 | প্রকাশিত : ১০ মার্চ ২০১৭, ২১:৩৩

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় এক নারীর কাছ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ২০ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী নারী তছকিনা বেগম পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রের মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করেন। আর তার কাছ থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য জাহিদুল ইসলাম তারার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় তছকিনা বেগম গত রবিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজমুল আহম্মেদ জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সহকারী উপপরিদর্শক আব্দুল খালেককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তছকিনা বেগম বলেন, গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি তার স্বামী মারা যান। এরপর থেকে তাকে তারা মেম্বার নানা প্রলোভন দিয়ে আসছিল। এক পর্যায়ে তার নামে একটি প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। কিছুদিন পর তছকিনা বেগম তার নাম পাল্টে মেয়ে ছিয়ামুন নাহার সিমুর নামে কার্ডটি দিতে তারা অনুরোধ করেন।

তছকিনা বেগম জানান, তারা মেম্বার তাকে বলেন প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ডে নাম পাল্টাতে এভিডেফিট লাগবে। এ কথা বলে তিনি তছকিনা বেগমের নিকট থেকে তার ছবি সংযুক্ত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেন। পরে ওই স্ট্যাম্পে ২০ লাখ টাকা কর্জ নেওয়ার চুক্তি দেখানো হয়।

তছকিনা বেগম জানান, তাকে শনিবার দুপুরের দিকে ভাতা কার্ডে নাম পরিবর্তনের কথা বলে তারা মেম্বার গাইবান্ধায় ডেকে এনে বিয়ে করতে চাপ দেন। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তারা মেম্বার বলেন, ‘তোমার কাছ থেকে সাদা নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সই নেওয়া আছে। ওই স্ট্যাম্পে ২০ লাখ টাকা কর্জ নেওয়া দেখানো হয়েছে। বিয়ে না করলে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তারা মেম্বারের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার ছোট ভাই সমসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর আলম দাবি করেন, এই অভিযোগ সত্য নয়।

ঢাকাটাইমস/১০মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :