বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় নতুন করে ফাটল

দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার বাড়ি ঘর ও ভূমিতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর আগের ফাটলগুলোর তুলনায় এগুলো আকারে অনেক বড়। এ নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র সরে পড়ছেন।
এলাকাবাসী জানায়, পাবর্তীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া এলাকার ৯ নং হামিদপুর ইউনিয়নের বাঁশপুকুর, বৌদ্দনাথপুরম, শীবকৃষ্ণপুর গ্রামের বাড়ি ঘর ও আবাদি জমি এবং চলাচলের রাস্তায় এই ফাটল দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও মাটি দেবেও যাচ্ছে।
বছর পাঁচেক আগে সরকার ওই এলাকার প্রায় ছয়শ একর জমি নতুন করে অধিগ্রহণ করে। ওই এলাকা থেকে কয়লা তোলার কারণে আশেপাশের এলাকায় ফাটল শুরু হয়।
খনি এলাকায় জীবন পরিবেশ ও রক্ষাকমিটির আহ্বায়ক মশিউর রহমান বুলবুল গত বৃহস্পতিবার হামিদপুর ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁশপুকুর, বৌদ্দনাথপুরম, শীবকৃষ্ণপুর এলাকা পরিদর্শন করেন এবং বিষয়টি খনি কর্তৃপক্ষকে জানান।
হামিদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাদেকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনাটি পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান তরফদারকে জানানো হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার তিনি এলাকা পরিদর্শনও করেছেন। জানিয়েছেন, বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির প্রকৌশলী হাবীব উদ্দিন ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কী পরিমাণ এলাকার ক্ষতি হচ্ছে তা জানাবে এই কমিটি। তবে এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আগের মতই ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।
এর আগে নানা সময় এ রকম ফাটল ধরার ঘটনায় এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে আন্দোলন করেছে। পরে সরকার তাদেরকে ক্ষতিপূরণও দিয়েছে। তবে যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলা হয়েছিল, দেয়া হয়নি তত। স্থানীয়রা বলছেন, তখন তাদেরকে বলা হয়েছিল যারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তাদের জন্য নতুন করে ‘কোল মাইনিং বিগসিটি টাউন’ গড়ে তোলা হবে। যা দেখে এলাকার মানুষ খুশি হবে। কিন্তু সেটা হয়নি।
ঢাকাটাইমস/৩১মার্চ/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

মন্তব্য করুন