বিমানবন্দরের আশ্বাস না পেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে মেননকে অবরোধ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ এপ্রিল ২০১৭, ১৮:১৯

পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি চালুর ব্যাপারে কোনো আশ্বাস না দেয়ায় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ঠাকুরগাঁওয়ে গিয়ে অবরোধের মুখে পড়েছেন। মঙ্গলবার বিকালে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর পরিদর্শনের দুই ঘণ্টা পর শহরের চৌরাস্তায় মেননকে অবরোধ করে রাখে স্থানীয় জনতা।

মঙ্গলবার দুপুরে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর দ্বিতীয়বারের মতো পরিদর্শনে যান মেনন। এ সময় তিনি বলেন, ‘পরিত্যক্ত এ বিমানবন্দরটি চালুর জন্য অনেক অর্থের প্রয়োজন যা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে বহন করা সম্ভব না।’

মেনন বলেন, ‘আমি কথা দিয়ে রাখতে পারিনি বলে লজ্জিত। তবুও এটি চালুর লক্ষে একনেকের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসে আবারও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দবিরুল ইসলাম এমপি, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি অধ্যাপক ইয়াসিন আলী, জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার ফরহাত আহম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক কুরাইশি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অরুনাং সু দত্ত টিটো, সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম প্রমুখ।

রাশেদ খান মেনন বিকালে জেলার পীরগঞ্জে ওয়ার্কাস পার্টির এক সভায় যোগ দিতে রওনা হলে অবরোধের মুখে পড়েন। পরে তিনি গাড়ি থেকে নেমে আসেন এবং বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলে তোলার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।

রাশেদ খান মেনন গত বছরের ৩ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর পরিদর্শন শেষে ‘এক বছরের মধ্যে বিমানবন্দরটি চালু করা হবে’ বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। আজ দ্বিতীয় দফা পরিদর্শনে তিনি সরকারের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরে আপাতত চালুর কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়ে দেন। এতে জেলার মানুষ হতাশ হন।

ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি চালুর দাবি এ জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের। এটি চালু হলে দেশ-বিদেশের অনেক উদ্যোক্তা এ অঞ্চলে ভারী শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করবে। সেই সাথে যোগাযোগের উন্নয়নের মাধ্যমে এ জেলা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।

জেলাবাসী আশায় বুক বেঁধেছিল চলতি মাসের শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঠাকুরগাঁও সফরে বিমানবন্দরটি চালুর ঘোষণা দেবেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত রাজধানী ঢাকার সঙ্গে ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরের যোগাযোগ ছিল। সে সময় ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটে নিয়মিত বিমান সার্ভিস চালু ছিল।

তখন থেকেই ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দরটি উত্তরের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনপদসমূহের সাথে ঢাকার বিমান যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন হয়ে পড়ে। ১৯৮০ সালে তৎকালীন বিএনপি সরকার লোকসানের অজুহাতে এই বিমানবন্দরটিকে বন্ধ করে দেয়।

(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/প্রতিনিধি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :