বেনাপোলে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু

ফাইল ছবি

বেনাপোলে গ্রিনলাইন পরিবহনের কাউন্টার ভাঙচুর ও চারজন পরিবহন শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে শনিবার সকাল থেকে বেনাপোলে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করছে পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলো।

সকালে বেনাপোলের প্রধান সড়কের ওপর পরিবহন দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এর ফলে শত শত পাসপোর্টধারী যাত্রী আটকা পড়েছে বেনাপোল চেকপোস্টে।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, শুক্রবার বিকালে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনকে সফল করার লক্ষ্যে বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেনাপোল বন্দরে মিছিল বের করে। মিছিলটি যখন বেনাপোল পরিবহন স্ট্যান্ডে আসে, তখন গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসের বক্সে যাত্রীদের ল্যাগেজ ওঠাচ্ছিলেন মোহন নামে একজন শ্রমিক। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে তার সামান্য কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে মোহনকে বেধড়ক পেটায়। তাকে বাঁচাতে বাসটির চালক জামাল, সুপারভাইজার আলাল ও চালকের সহকারী লিয়াকত এগিয়ে এলে ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদেরও পেটান। পরে ছাত্রলীগ কর্মীরা বিজিবি ক্যাম্পের সামনে গিয়ে গ্রিনলাইন পরিবহন কাউন্টার ভাঙচুর করে।

এর প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে বেনাপোল থেকে সব ধরনের পরিবহন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন শ্রমিকরা। শনিবার থেকে পরিবহন ধর্মঘটের সমর্থনে মাইকেও প্রচার করা হয়।

বেনাপোল গ্রিনলাইন পরিবহনের ব্যবস্থাপক রবীন বলেন, ‘বিষয়টি ঢাকায় মালিককে জানানো হয়েছে। তারা ওখান থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।’

তিনি আরও বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় শনিবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটক না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।’

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শ্রমিক সংগঠন ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সুরাহারও চেষ্টা চলছে।

ঢাকাটাইমস/৮জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর