প্রধান বিচারপতির ছুটিতে যাওয়া ভালো ইঙ্গিত না: আমির খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে এক মাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রধান বিচারপতির আবেদন দেশের জন্য ভালো ইঙ্গিত বহন করে না বলে মন্তব্য করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ জাতীয় দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ সরকার দেশের অর্থনীতিসহ সব কিছু ধ্বংস করে দিয়ে বিচার বিভাগকে তাদের বন্দির তালিকায় নিয়ে যাচ্ছে। ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রধান বিচারপতির আবেদন দেশের জন্য ভালো ইঙ্গিত বহন করে না। কারণ ছুটি কাটিয়ে মাত্র কয়েকদিন আগেই তিনি দেশে ফিরেছেন।’
সোমবার অসুস্থতাজনিত কারণ দেখিয়ে এক মাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করেছেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ফলে মঙ্গলবার থেকে প্রধান বিচারপতির আসনে বসছেন না তিনি।
কানাডা ও জাপান সফর শেষে গত ২৪ সেপ্টেম্বর দেশে ফেরেন প্রধান বিচারপতি। এর আগে ৮ সেপ্টেম্বর রাতে অসুস্থ মেয়েকে দেখতে কানাডায় যান তিনি।
আমির খসরু বলেন, ‘সরকার রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর যে নাটক করছে এটা একান্তই তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত নেয়া ছাড়া তাদের কোনও উপায় ছিল না। দেশের জনগণের চাপে তারা রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছে।’
সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়েছিলেন। সেখানে নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে তো কোনও প্রস্তাব পাস হয়নি? এটা কোনও সংবাদপত্রে দেখলাম না। কোনও রেডিওতেও শুনলাম না। টেলিভিশনেও দেখলাম না। তাহলে শেখ হাসিনা ওখানে গিয়ে কি করলেন? এ যদি নাগরিক হিসেবে তাকে প্রশ্ন করি সরকার প্রধান হিসেবে তিনি কি জবাব দেবেন?’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যা খুশি সরকার করবে, আমাদেরকে তা নাকি মেনে নিতে হবে। তাকে নাকি সাহায্যকারী জননী বানানো হচ্ছে। আর এ জন্য নাকি তাকে নোবেল দিতে হবে। নোবেল দিলে তো বেগম জিয়াকে দিতে হবে। রোহিঙ্গাদের আশ্রয়ের জন্য নোবেল যদি দেন, প্রশংসা যদি করতে হয় তাহলে বেগম জিয়ার করতে হবে। শেখ হাসিনা খালেদা জিয়া বলার পরে জনগণের চাপে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছেন। তার আগে শেখ হাসিনা মিয়ানমারের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া দিতে চেয়েছিলেন। সামরিক মহড়া কি? একদিক থেকে মিয়ানমার সরকার তাদের গুলি করে তাড়িয়ে দেবে তারপর যে কয়জন পালিয়ে আসবে তখন আপনারা মারবেন। লজ্জা করে না আপনি মানবতার জননী হবেন?
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে দুদু বলেন, আপনি জাতিসংঘে যতই লবিং করেন, কোনও কারণে ড. ইউনূসের পর শান্তিতে বাংলাদেশের যদি কেউ নোবেল পান পাবেন তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এসানুল হুদার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন-ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, আবৃ নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
ঢাকাটাইমস /০২অক্টোবর /বিইউ/জেডএ

মন্তব্য করুন