নাগরিক নয় এটা রাষ্ট্রীয় সমাবেশ: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৬:০২ | প্রকাশিত : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ১৫:০৬

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দেয়ায় আনন্দে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডাকা নাগরিক সমাবেশে মানুষকে যোগ দিতে বাধ্য করার অভিযোগ করছে বিএনপি। তিনি বলেছেন, এটা নাগরিক সমাবেশ না, এটা রাষ্ট্রীয় সমাবেশ।

শনিবার এই সমাবেশের প্রস্তুতি চলাকালে রাজধানীতে এক আলোচনায় এ কথা বলেন ফখরুল। মওলানা ভাসানীর ৪১ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এই আলোচনার আয়োজন করে ভাসানী স্মৃতি সংসদ।

ফখরুল বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোতে তালিকাভুক্তি হয়েছে সেই জন্য এই সমাবেশ। বলা হচ্ছে এটা রাজনৈতিক নয়, নাগরিক সমাবেশ। তো ভালো কথা। আমরা তো মনে করি যে, এটা আনন্দের কথা। কিন্তু কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন? প্রত্যেকটা স্কুল-কলেজকে চিঠি দিয়েছেন, না আসলে শিক্ষকদের চাকরি থাকবে না। ব্যাংকে চিঠি দিয়েছেন, না আসলে পাঁচ দিনের বেতন কাটা যাবে। টিচার-শিক্ষক সবাইকে এই কথা বলে নিয়ে আসছেন। সকালে দেখে এসেছি, বড় বড় বাসে স্কুলের বাচ্চাদের তোলা হচ্ছে।’

বিভিন্ন দেশের আরও ৭৭টি ঐতিহাসিক নথি ও প্রামাণ্য দলিলের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির জনক শেখ মুজিবুর রগমানের সেই ভাষণকেও গত মাসের শেষে ‘ডকুমেন্টারি হেরিটেজ’ হিসেবে ‘মেমোরি অফ দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ যুক্ত করে নেয় ইউনেস্কো। বঙ্গবন্ধুর ভাষণের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি উদযাপনে শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নিয়েছে।

ফখরুল বলেন, ‘কিছুদিনের জন্য ক্ষমতায় থেকে আনন্দে আছেন। বগল বাজাচ্ছেন, যা ভাবছেন তা হবে না। বিএনপিকে ছাড়া এদেশের মানুষ আর কোন নির্বাচন গেলবে না, মেনে নেবে না।’

‘দেশের মানুষ সকল রাজনৈতিক দলকে আগামী নির্বাচনে দেখতে চায়। তারা নিজের ভোট দিয়ে সরকারের পরিবর্তন চায়, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তবে এটা সম্ভব একমাত্র নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থায়।’

আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, ‘কোন সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। যে সংবিধান আপনারা তৈরি করেছেন অনির্বাচিত সংসদে?’।

নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘শুধু মাত্র নির্বাচনের আগে ৯০ দিন নিরপেক্ষ থাকবেন তা হবে না। একদিকে হেলিকাপ্টারে করে নির্বাচনী প্রচারণা চালাবে আর অন্যদিকে বিএনপি চেয়াপারসনসহ আমরা যারা বিরোধী রাজনৈতিক দলে আছি তারা প্রতিদিন আদালতের বারান্দায় থাকবো সেটা হবে না।’

‘লোক দেখানো নিরপেক্ষতা দেখালে চলবে না। এখন থেকেই নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে, সকল রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং নির্বাচনের আগে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিতে হবে।’

মওলানা ভাসানীর কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, ‘তিনি আজীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন শোষনকারীর বিরুদ্ধে। তিনি প্রথম বাংলাদেশ স্বাধীন করার ডাক দিয়েছেন। অথচ দুঃখের কথা তিনি যে আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করেছেন তারা ভাসানীকে স্মরণ করতে চায় না।'

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জিয়াউল হক নিলুর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা নাজমুল হক নান্নু, সাংবাদিক জাকারিয়া খান চৌধুরী, জাপা (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, মশিউর রহমান যাদু মিয়ার মেয়ে ন্যান্সী রহমান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/১৮নভেম্বর/বিইউ/ডব্লিউবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :