কান উৎসবে বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘মেঘে ঢাকা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৬ মার্চ ২০১৮, ১৪:৫৩

বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন আয়োজন ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৮’-এ অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মেঘে ঢাকা’। চলচ্চিত্রটির গল্প, চিত্রনাট্য এবং পরিচালনা করেছেন নির্মাতা মনজুরুল আলম। একটি সুবিধাবঞ্চিত শিশুর জীবিকা ও সংগ্রাম নিয়ে ১১ মিনিটের এ ছবিটি তৈরি করা হয়েছে। আগামী ৮ মে থেকে ১৯ মে ফ্রান্সের কান শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এর শর্ট ফিল্ম কর্নারে চলচ্চিত্রটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে।

স্বল্পদের্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মেঘে ঢাকা’র ইংরেজি নাম ‘লাইফ উইদাউট সান’। এটি নির্মাতা মনজুরুল আলমের প্রথম স্বল্পদের্ঘ্য চলচ্চিত্র। ছবির মূল চরিত্র সুবিধাবঞ্চিত শিশু হাবু। হাবু চরিত্রে অভিনয় করেছেন হাবিব অরিন্দ্য। তাঁর বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী বাবুল।

ছবির কাহিনি সম্পর্কে নির্মাতা মনজুরুল জানান, ‘হাবু গ্রামের তাঁতশ্রমিক। ‘প্যারালাইজড’ বাবাকে নিয়েই তার পৃথিবী। হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে তাঁত শিল্প এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গ্রামে বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বন খুঁজে না পেয়ে বাবাকে নিয়ে হাবু কাজের সন্ধানে ঢাকায় আসে। কিন্তু শহরে এসেও রোদ্দুরের দেখা মেলে না হাবুর। রাজধানীতেও বাবাকে নিয়ে নতুন ঝড়ের মুখোমুখি হয় সে।

চলচ্চিত্রটির বিষয়বস্তু তুলে ধরতে গিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের ওপর যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে, এক টিমানবিক গল্পের মাধ্যমে সেই বার্তা তুলে ধরতে চেয়েছি।’

ছবিটির শুটিং হয়েছে পাবনার আটঘরিয়া এবং রাজধানী ঢাকার হাতিরঝিল, তেজগাঁও রেল স্টেশন,ফার্মগেটসহ বিভিন্ন স্থানে। এর সম্পাদনা করেছেন সবুজ খান। শব্দসজ্জা করেছেন রিপন নাথ। ফিল্মিয়ানা প্রোডাকশনের ব্যানারে ছবিটি যৌথভাবে প্রযোজনা করেছেন জনি হক ও মনজুরুল আলম।

এর আগে টিভি নাটক পরিচালনা করে হাত পাকিয়েছেন নির্মাতা মনজুরুল আলম। কান উৎসব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কানের ৭১তম আসরের শর্ট ফিল্ম কর্নারে ছবিটি জমা দিয়েছিলাম। এটি ছিল আমার প্রথম শর্ট ফিল্ম। আর সেটিই শর্ট ফিল্ম কর্নারে প্রদর্শনের জন্য আয়োজকরা নির্বাচন করেছেন। একজন বাংলাদেশি নির্মাতা হিসেবে যা অত্যন্ত সম্মানের এবং গর্বের।’

প্রসঙ্গত, কান চলচ্চিত্র উৎসব পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং প্রভাবশালী চলচ্চিত্র উৎসব। ১৯৪৬ সাল থেকে দক্ষিণ ফ্রান্সের শহর কানে প্রতি বছরই এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। কানের শর্ট ফিল্ম কর্নারে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের স্বল্প দৈর্ঘের ছবিগুলো দেখানো হয়। এর মাধ্যমে নির্মাতারা বিশ্ব দরবারে নিজেকে তুলে ধরার সুযোগ পান। বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র সম্পর্কে কাছ থেকে জানার সুযোগ লাভ করেন। চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভাবনার আদান-প্রদানও হয়।

ঢাকাটাইমস/৬মার্চ/এনএইচ/এএইচ

সংবাদটি শেয়ার করুন

বিনোদন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :