‘পথচারী ও সড়ক পরিকল্পকদেরও আইনে আনতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৫৬

‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’–তে শুধু চালক-মালিকদের নয়, পথচারী, সড়ক পরিকল্পক ও মেরামতকারীদের জন্যও শাস্তির বিধান থাকা দরকার বলে অভিমত দিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

আজ শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে 'গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা ও সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ পর্যালোচনা' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিমত দেয়া হয়।

'রোড সেফটি ফাউন্ডেশন' আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন সংগঠনটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, আইনজীবী, পরিবহন বিশ্লেষক ও প্রকৌশলীরা।

খসড়ার আংশিক প্রকাশ পেয়েছে জানিয়ে বক্তাদের দাবি, এই আংশিক খসড়া আইন তেমন যুক্তিযুক্ত ও জনবান্ধব নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনেরর ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ শরীফ বলেন, দেশের গণপরিবহনের নৈরাজ্যের দায় বিএরটিএ এড়াতে পারে না। একই সঙ্গে বিআরটিএর লোকবল ঘাটতিও একটা বড় কারণ বলে মনে করেন তিনি।

এ সময় তিনি বিআরটিএর অনুমোদিত পদ ও বর্তমান লোকবলের চিত্র তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘বিএরটিএর অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৮২৩। এর মধ্যে পরিদর্শক ও সহপরিদর্শন পদ ৪০০টি। কিন্তু বাস্তবে ২৫০টি পদ শূন্য রয়েছে। সারা দেশে বিএরটিএর কর্মকর্তার সংখ্যা মাত্র সাড়ে পাঁচ শ। আর দেশে ২০ ধরনের যানবাহনের সংখ্যা ৩৬ লাখ। এর মানে দাঁড়াচ্ছে একজন ব্যক্তি গড়ে ৫ হাজার গাড়ির তদারক করছেন।’ এই খাতে লোকবল বাড়ানোর সুপারিশ করেন রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান।

ঢাকা মহানগরীতে রাস্তার পরিমাণ মূল আয়তনের মাত্র ৭.৮ শতাংশ। গণপরিবহণের তুলনায় ব্যক্তিগত গাড়ি ৩৩ শতাংশ বেশি। বিষয়টি সরকারের বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত আইনে গণপরিবহণ ও ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য পৃথক লেনের সুপারিশ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

পরিবহন ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনা রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করা, পরিবহন শ্রমিকের মজুরি, কর্মঘণ্টা ও বিশ্রামের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, সড়ক দুর্ঘটনায় সাজার মেয়াদ আরও বাড়ানোসহ ফাউন্ডেশনটির পক্ষ থেকে মোট ১৬টি দাবি জানানো হয়। এগুলো সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮-তে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি বলে মনে করে ফাউন্ডেশনটি।

গণপরিবহন নৈরাজ্যের জন্য কেবল চালক ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরাই দায়ী নয়, সাধারণ মানুষও আইনের তোয়াক্কা করেন না। সাধারণ মানুষের জন্যও আইনের বিধান থাকা দরকার বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকসিডেন্ট এবং রোড সেফটি বিভাগের শিক্ষক শাহ নেওয়াজ হাসনাত-ই-রাব্বি।

তিনি বলেন, চালকের মোবাইল ফোন ব্যবহার না করার কথা বলা হচ্ছে, একই সাথে পথচারীদের জন্যও সে নিয়ম থাকতে হবে। পথচারীবান্ধব সড়ক তৈরির বিষয়েও খসড়া আইনে কিছু বলা হয়নি।

সড়ক মেরামত ও পরিকল্পনাকারীদেরও সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়বদ্ধ করা উচিত বলে মনে করেন ওই বুয়েট শিক্ষক। তাদেরও জবাবদিহি ও শাস্তির বিধান থাকা অবশ্যক উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'যারা অনুসন্ধান করবেন তাদের সে যোগ্যতা থাকতে হবে। যারা দায়িত্বে থাকবেন তারা যদি গাফিলতি করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমন কিছু খসড়ায় বলা হয়নি।'

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।

(ঢাকাটাইমস/১১আগস্ট/কারই/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজধানী এর সর্বশেষ

পুরান ঢাকায় বাবার সঙ্গে অভিমান করে স্কুল শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যু: বিচার চায় সচেতন নাগরিক সমাজ

তীব্র তাপপ্রবাহে জনসাধারণের মাঝে পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ বিএনপির

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরেও নেতাকর্মীরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে: সালাম

ঢাকা মেডিকেলে এক কারাবন্দিকে মৃত ঘোষণা

ভাষানটেকে অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫, বাকি একজনও আশঙ্কাজনক

মুগদা-মান্ডা সড়কে অভিযান: ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ  

মোহাম্মদপুরে তিতাসের এমডির বাসার সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজধানীতে থাকবে না ফিটনেসবিহীন বাস, জুন থেকে মাঠে নামছে বিআরটিএ

আজ ৩ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর বেশ কিছু এলাকায়

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :