চকলেট আগ্রাসে ধুঁকছে সাজ শিল্প

ময়মনসিংহে উৎপাদিত শিশুদের আকর্ষণীয় খেলনা খাবার সাজ এক সময় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাড়ি দিত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে চকলেটের আগ্রাসনে সেই দিন হারিয়ে গেছে।
বেশ কয়েকজন এখনও সাজ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখলেও বেশির ভাগই অন্য পেশায় চলে গেছেন। ফলে, সেই রমরমা আর নেই শিশুদের খেলনা খাবার বস্তু সাজে।
এক সময় বাঙালির পালা-পার্বণে শিশুদের আকর্ষণীয় সামগ্রী ছিল সাজ। চিনি দিয়ে তৈরি হাতি, ঘোড়া, মাছ, পাখি প্রভৃতির আকারে ছাপের ডাইসে ঢেলে তৈরিতে ময়মনসিংহ জেলা ছিল অন্যতম সেরা। সাজ ময়মনসিংহে আলাদা পরিচিতি ছিল এক সময়ে। কিন্তু সেই কদর এখন অনেকটাই কমে গেছে। কমে গেছে সাজ তৈরির শিল্পীর সংখ্যাও।
ময়মনসিংহে শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই শিল্প নিয়ে উৎসাহ কম। ফলে, নতুন কারিগরের অভাব তৈরি হয়েছে।
সাজের কারিগর রাধানাথ সাহা জানান, সাজ তৈরি করতে মূলত লাগে চিনি। চিনি জ্বাল দিয়ে গলিয়ে দক্ষতার সঙ্গে ডাইসে দিয়ে তৈরি করতে হয়।
তিনি বলেন, বাজারে এক কেজি চিনি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে কিনে সাজ বানানোর পর বিক্রি করা যায় ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। এতে লাভের পরিমাণ খুবই কম। তাই এ পেশায় জড়িতরা লোকসান হওয়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। কমে গেছে দক্ষ কর্মীও।
এদিকে পালা পার্বনের লোকজ মেলায় এখনও সাজ তোলা হয়। প্রধান ক্রেতা শিশু-কিশোরদের এই সাজের প্রতি আগ্রহ নেই। শিশুদের আগ্রহ এখন নানান ধরনের চকলেটে।
(ঢাকাটাইমস/১৫এপ্রিল/ব্যুরো প্রধান/এলএ)

মন্তব্য করুন