পাবনা-৩: আ. লীগের এক ডজন, বিএনপির চার নেতা প্রস্তুত

খাইরুল ইসলাম বাসিদ, পাবনা
  প্রকাশিত : ২৫ মে ২০১৭, ১৩:০১
অ- অ+

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন লাভে পাবনা-৩ এলাকার (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) নির্বাচনী এলাকার গ্রাম-গঞ্জের তৃণমুল নেতা কর্মী ও দলীয় সমর্থকদের সাথে পরিচিতি ও কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন এ এলাকার আওয়ামী লীগের অন্তত এক ডজন নেতা। শুধু কুশল বিনিময় নয় তারা এই এলাকার উন্নয়নে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।

বিএনপির অন্তত চার জন নেতাও এলাকায় নির্বাচনে আগ্রহী বলে দলের বিভিন্ন পর্যায় থেকে জানা গেছে। তবে তাদের আগাম জনসংযোগ সংক্রান্ত কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না।

ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন এলাকা ও গ্রাম-গঞ্জে নিজের প্রার্থিতার বিষয়ে প্রকাশ করছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন প্রত্যাশী বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত নিজের ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা ব্যানার, ফেস্টুন টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন প্রত্যন্ত গ্রাম গঞ্জে ও বিভিন্ন জন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়।

পাবনা-৩ এলাকায় প্রচার প্রচারণায় ও তৃণমুল নেতা কর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে যাদের নাম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশার তালিকায় শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল আলিম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ মাস্টার, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আ স ম আব্দুর রহিম পাকন, সাবেক ভাঙ্গুড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বাকি বিল্লাহ।

আরও আছেন চাটমোহর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সাখো, বিএমএ পাবনা জেলা শাখার সভাপতি গোলজার হোসেন এবং ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলি আশরাফুল কবির।

পাবনা-৩ আসনটি চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত। বর্তমান সংসদ সদস্য মকবুল হোসেনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এর তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে সংযোগ রক্ষা করে অল্প সময়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার সন্তান আব্দুল আলিম। বর্তমান সংসদ সদস্য কোনো কারণে মনোনয়ন না পেলে আব্দুল আলিম এগিয়ে থাকবেন বলে তার সমর্থকরা আশা করছেন।

জানা গেছে, পাবনা-৩ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন শুরুতে জনপ্রতিনিধি ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আশির দশকে জাতীয় পার্টির সমর্থনে দুইবার চাটমোহর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর নানা কারণে দলের ভেতর তাকে নিয়ে আপত্তি তৈরি হয়।

বিশেষ করে দলের ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে নিজের ছেলেকে পৌর মেয়র পদে মােনয় দেয়া, অন্য পৌরসভায় নিজ দলের মেয়র প্রার্থীদের সুকৌশলে হারিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠায় কেন্দ্রের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছেন কৃষি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি। আর মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে এসব বিষয় বিবেচনায় থাকতে পারে ভেবে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন অন্যরা।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল আহাদ বাবু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘নেতাকর্মীদের কাছে এবং জনগনের দৌড়গোড়ায় যেসহ নেতাকর্মীরা আছেন তাদেরকেই মনোনয়নের জন্য তালিকা পাঠানো হবে। তিনি বলেন, সৎ, যোগ্য ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’

বিএনপিতে আলোচনা চার জনকে ঘিরে এদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাইতে পারেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বয়েন উদ্দীন মিয়া। এছাড়াও বিএনপির মনোনয়ন চাইবেন সাবেক সংসদ সদস্য কেএম আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান ফখরুল আযম।

তবে বিএনপির কোন নেতাকে এই আসনে দেখা মিলছে না। নেতাকর্মীদের অভিযোগ, পাবনা-৩ এলাকার তিনটি উপজেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি তেমন ভাবে পালিত না হওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তেই চূড়ান্ত হবে মনোনয়ন। তবে যাকেই দল থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে তাকেই জয়যুক্ত করতে হবে।

ঢাকাটাইমস/২৫মে/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কলকাতায় হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৪ জনের মরদেহ উদ্ধার
তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতিতে সরকারের সংশ্লিষ্টতা? যা বললেন উপদেষ্টা ফারুকী
ভেষজ ঔষধি ঢেঁড়স ডায়াবেটিস ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়
গরমে স্বাস্থ্য রক্ষায় কোন পাত্রে কতটুকু পানি পান করা নিরাপদ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা