রাত্রির জন্য কবিতা

হাসান জাবির
  প্রকাশিত : ২৩ আগস্ট ২০১৭, ১৯:০৩
অ- অ+

দ্বিমাত্রিক রাত...

আমাদের রাতগুলো এখনো খুব আটপৌরে,

সাধারণভাবে কেটে যায়..

ক্ষুধায় মুষড়ে যাওয়া প্রায় শুণ্য পাকস্থলী

বালিশবিহীন কঠিন বিছানায়

স্বপ্নবিহীন গুমোট অন্ধকারে।

ছটফটানো বিক্ষিপ্ত ঘুমে।

লোকচক্ষুর অন্তরালেই পড়ে থাকে

আমাদের জোৎস্নার শৈল্পিক আবাহন।

ক্ষীণ জোনাকির আলোর ডানায় ভেসে ভেসে

কদাচিৎ স্বপ্নালোকে হারায় বিলাসি মন।

বিমর্ষ ঘুমে ইস্পাত কঠিন রাতের আকাশে

নিবু নিবু তারা"দের ভীরেও

উদাসি মনের ঘরে জমে ঘোর অন্ধকার।

বিষন্ন আংগুলের কোলে জ্বলে জোনাকি, পোড়ে নিকোটিন।

তখন তোমাদের সভ্য শহর

আলো ঝলমল রঙিন

চারদিকে উৎসবের কোলাহল।

কৃত্রিম আলোর ফোয়ারার অফুরন্ত দ্যুতিতে

বিপর্যস্ত হয় প্রকৃত রাত। তখন

মনে পরে রূপকথা,মনে পরে অন্ধকার।

কিছু রাত তোমাদের

যারা দিন আর, রাত্রিকে একাকার করেছো নিমিষেই

যারা সুন্দরের নামে রাত্রিকে নগ্ন করেছো

অনায়াসে

শিল্পিত অন্ধকার নিমজ্জিত করেছে

ক্যাসিনোর বোর্ড।

যারা কৃত্রিম জোৎস্ন্যার আলোর দ্যুতিতে

রঙিন করেছো মদের শহর।

যারা,সত্য আর সুন্দরের মাঝখানে

বিরাম চিহ্ন টেনে দবিখন্ডিত করেছো

রাতের আকাশ...

অসাম্যের রাত

আজো একদল মানুষের রাতের ঠিকানা

নাগরিক ল্যাম্পপোষ্টের সংকির্ণ তলদেশ।

এখনো কিছু মানুষের খাদ্যের উৎস।

দামী হোটেলের উচ্ছিষ্ট।

দামী উচ্ছিষ্টেই তৃপ্ত হয়

সাধারন রাতের আনন্দ।

অথচ প্রতিদিন এইসব সংগ্রামী মানুষদের

উদ্ভাসিত সবপ্নে

শুরু হয় দিন।

বেড়ে উঠে সুন্দর হয় সভ্যতা।

মুখরিত হয় পৃথিবীর রাত।

সুঠাম বাহু আর শক্ত পেশির মানুষরাই

অবিশ্রান্ত পরিশ্রমে তৈরি করে

রাতের ক্যাসিনোর আলোসজ্জা।

মধুচক্রের শোভিত নারীর উড়না, ব্রা।

তোমাদের উদ্যোম নাচের ডায়াস।

অথচ তোমাদের আনন্দমুখর রাতে

এইসব সংগ্রামী মানুষদের সন্তানেরা

ক্ষুধায় করে হাপিত্যাশ।

বিমর্ষ পিতার ফ্যালফ্যাল চোখের ভাষা

বুঝে সুবোধ বাচ্ছারাও ব্যাঙ্গ করে সভ্যতাকে

করে তীব্র অভিমান...

সাধারণ রাত

গোধুলী ফুরিয়ে গেলে

দিগন্তের আবছায়ায় দিনের করুণ অবসান

সুর্য্য ডুবে যায়, আসে রাত্রি।

পৃথিবী জুড়ে নেমে আসে অন্ধকার

সুনসান নীরবতা জানিয়ে দেয়

এখন রাত্রি। এখন পৃথিবী

শান্ত ও স্থির। প্রশান্তির নেশায় বুঁদ

চতুর্দিকে ঘুমের আয়োজন।

এখন রাত্রি

প্রহরে প্রহরে অন্ধকার, জোনাকির খেলা।

আকাশের সীমানায় তারাদের মৃদু উৎসব

অন্ধকার পৃথিবীকে ঘিরে-

জীবনের গ্লাণি, ক্লান্তি ঘৃণা ইত্যাদি এখনই

ভুলিয়ে দিবে আসন্ন রোমাঞ্চকর তন্দ্রা।

ঘুমে ঘুমে স্থির হবে সময়। অন্ধকারে

পৃথিবীর ক্লান্ত দেহের নির্মহ,নির্লিপ্ত চোখে

নতুন আলোর অবারিত স্বপ্ন।

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
কসবা সীমন্তে বিএসএফের গুলি, আহত দুই বাংলাদেশি
কানে বিশেষ স্বীকৃতি পেলো আদনান আল রাজীবের ‘আলী’
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি মেহেদি হাসানের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ১
অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে পেট্রলপাম্প বন্ধ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা