সাংবাদিক মুন্নি সাহার ৩৫ ব্যাংক হিসাবে ১৮ কোটি টাকা অবরুদ্ধ

সাংবাদিক মুন্নি সাহা ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। এসব ব্যাংক হিসাবে স্থিতি রয়েছে ১৮ কোটি ১৬ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৩৯ টাকা।
আজ শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন খান এক বার্তায় এ তথ্য জানান।
অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরোধ (ফ্রিজ) করার আদেশের পরেই ওই টাকা অবরুদ্ধ করা হয়।
বার্তায় বলা হয়, মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন সাংবাদিকতা পেশাকে ব্যবহার করে বিধিবহির্ভূতভাবে প্রভাব খাটিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেছেন। অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ নিজের এবং স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন করে আসছেন-এমন অভিযোগ আসে সিআইডিতে।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ মোতাবেক সন্দেহভাজন ব্যক্তি ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং অনুসন্ধান শুরু করে।
বার্তায় আরও বলা হয়, প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাংবাদিক মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য পর্যালোচনায় দেখতে পান, তাদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ৪৬টি হিসাবে খোলা হয়ে। এর মধ্যে বর্তমানে ৩৫টি ব্যাংক হিসাব চালু রয়েছে।
হিসাব খোলার তারিখ থেকে বিভিন্ন সময়ে সেগুলোতে সন্দেহজনকভাবে মোট ১৮৬ কোটি ৫৬ লাখ ৯১ হাজার আট টাকা লেনদেন হয় উল্লেখ করে বাতায় বলা হয়, সেসব ব্যাংক হিসাবে বর্তমানে ১৮ কোটি ১৬ লাখ ৫৩ হাজার ৭৩৯ টাকা স্থিতি রয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে ব্যাংক হিসাবগুলোর লেনদেন সন্দেহজনক মনে হলে সেগুলো অবরুদ্ধ করার আবেদন করা হয়। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র স্পেশাল জজ সন্দেহভাজন মুন্নি সাহা ও তার স্বামী কবির হোসেন এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৩৫টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দেন।
আদেশের পরেই ওই টাকা অবরুদ্ধ করা হয়। এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান চলছে বলে জানায় সিআইডি।
ঢাকাটাইমস/২৪মে/এসএস/মোআ)

মন্তব্য করুন