কারাগারে সাবেক যুবদল নেতা মামুন হাসান

আওয়ামী লীগ সরকারে সময়ে হওয়া চার মামলায় দণ্ড পাওয়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন মামুন হাসান।
শুনানি শেষে ঢাকার পৃথক চার আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। চারটি পৃথক মামলায় সর্বমোট দশ বছর কারাদন্ডের রায় রয়েছে।
মামুন হাসানের নামে বিগত সরকারের সময়ে বিভিন্ন থানায় সর্বমোট ৪ শতাধিক রাজনৈতিক মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ২৮৭টি মামলা চলমান আছে।
এদিন কারাগারে যাওয়ার আগে আদালতের ফটকে দাড়িয়ে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মামুন হাসান বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বিধায় আত্মসমর্পণ করেছি। পুলিশকে তাদের কাজ করতে দেন, কোন সমস্যা যেনো না হয়। শেখ হাসিনা যেমন বিদায় নিয়েছে, এই অন্যায় রায়ের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করেছি । রায়ে আমরা ন্যায়বিচার পাবো ইনশাআল্লাহ।
মামলার বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনা বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিলেন। জামিন দেয়ার এখতিয়ার বিজ্ঞ আদালতের না থাকায় বাংলাদেশ বাচানোর আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখা মামুন হাসানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। একইদিন মিরপুর মডেল থানার দ্রুত বিচার আইনের আরেক মামলায় তার তিন বছরের কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। একই বছরের ১২ নভেম্বর মিরপুর মডেল থানার মামলায় পৃথক দুই ধারায় আড়াই বছরের কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়। এর আগে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর মিরপুর মডেল থানার এক মামলায় দেড় বছরের কারাদণ্ড এবং তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের সাজা দেওয়া হয়।
জেবি

মন্তব্য করুন